২২.৬.১৮

সংসার ধর্ম বড় ধর্ম, অন্য ধর্ম নেই !! মানে কি কথাটির ?

প্রশ্নঃ সংসার ধর্ম বড় ধর্ম, অন্য ধর্ম নেই!! এই কথার মানে কি?

এই কথার সঠিক তাৎপর্য কয়জনেই বা উপলব্ধি করতে পারে!!এতোদিন আপনারা শুধু জেনে এসেছেন-
সংসার ধর্ম বড় ধর্ম, অন্য ধর্ম নেই!!
তবে আসুন ভক্তবৃন্দ এখন এর সঠিক তাৎপর্যঃ জেনে নিই,,,
আর একটা অনুরোধ আপনাদের কাছে এই উত্তরটি শ্রবণ করার পর অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না!!কারণ আপনার একটি শেয়ারে অন্য আরেক জনের উপকৃত হতে পারে!আর বেশি কথা বলবো না এখন তবে প্রশ্নের মূল উত্তরে যাওয়া যাক--->>>
☞প্রশ্নঃ সংসার ধর্ম বড় ধর্ম, অন্য ধর্ম নেই!! এই কথার মানে কি?



উত্তরঃ এখানে সংসার ধর্ম বলতে গৃহস্থ ধর্মকে বোঝাচ্ছে। পতি, পত্নী ও সন্তান নিয়ে মানুষ ঘর করে জীবনযাপন নির্বাহ করে। পতি-পত্নী যদি না থাকে, তবে সন্তান আসবে কোথা থেকে। আর ধর্মই বা পালন করবে কে? তাই গৃহস্থ জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব আছে। তাঁরা সৎ সন্তান উৎপাদন করে দেশের ও দশের মঙ্গল সাধন করতে পারেন।

👉কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ঘটছে অন্যরকম। বহু পিতামাতা নাস্তিক ধর্মাচরহীন সন্তান সৃষ্টি করছেন। যারা এক একটি সংসার তছনছ করে দিচ্ছে। সমাজের বহু ক্ষতি সাধন করছে। স্বার্থপর, ব্যভিচারী, খুনী, নেশাখোর, বাটপাড়, ডাকাত, মাতাল, বদরাগী, ন্যাকা, বদমাশ, অসৎ প্রকৃতির বহু মানুষে জগৎ ভরে যাচ্ছে। গৃহস্থ জীবনের পালনীয় বৈদিক সংস্কারগুলি লোকে আর তেমন পালন করছে না বললেই চলে

👉অধিকাংশ লোক গৃহস্থ না হয়ে গৃহমেধী জীবন যাপন করছে। সেই সমস্ত গৃহে হয় না হরিপূজা, চলে না হরিনাম কীর্তন, করে না সাধুবৈষ্ণবের সেবা, শোনে না গীতা-ভাগবত, রাখে না শ্রীকৃষ্ণের অর্চা বিগ্রহ, খায় না কৃষ্ণপ্রসাদ। কেবল করে টাকা রোজগার। খায় মাছ-মাংস, মজে নেশাদ্রব্যে, দেখে আধুনিক ছায়াছবি, শোনে অভক্তি গান, বৈবাহিক জীবনের সংস্কারগুলি সম্পর্কে তারা ওয়াকিবহাল নয়। মানে না বারব্রত। থাকে না সংযত।

👉বৈদিক পন্থায় বিকেল বা সন্ধ্যার দিকে গৃহস্থ ব্যক্তিরা বিশেষত গৃহবধূরা সুসজ্জিত হয়ে ইসকন মন্দিরে ভগবানের সন্ধ্যা-আরতিতে যুক্ত হয়ে অর্চা বিগ্রহের সামনে ঘৃত প্রদীপ নিবেদন করতেন। সেখানে প্রণতি, প্রার্থনা নিবেদন ও ভজন কীর্তন করতেন।

👉বর্তমানেও বিকেল বা সন্ধ্যাবেলায় দম্পতিগণ খুব সাজগোজ করেন বটে, কিন্তু মন্দিরে যাওয়ার জন্য নয়। তাঁরা আধুনিক সিনেমা-হলে যাওয়ার জন্যই ব্যস্ত।

👉বৈদিক ভাবাপন্ন স্বামী-স্ত্রী সুপুত্র লাভের উদ্দেশ্যে ভগবানের কাছে ঐকান্তিকভাবে প্রার্থনা করতেন। কিন্তু বর্তমানের স্বামী-স্ত্রী সন্তান লাভের জন্য প্রার্থনা তো দূরের কথা, তারা সন্তান লাভ করতেই চান না। সেই জন্যে তারা সন্তানকে ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগেই মেরে ফেলবার পরিকল্পনা করছেন।

👉অধিকাংশ মানুষ সংসার-ধর্ম ছেড়ে অধর্মের সংসার করছে সন্দেহ নেই। এইজন্যই আত্মহত্যা, সন্তান হত্যা, ভ্রূণহত্যা, মাতৃপিতৃ হত্যা, বধূ হত্যা, ভ্রাতৃবিরোধ, নানাবিধ উৎপাত প্রতিদিন ঘটে চলেছে।

👉আমাদের পরম গুরুদেব সচ্চিদানন্দ শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুর ছিলেন আদর্শ গৃহস্থ। তিনি কৃষ্ণভক্তিময় সংসারের কথা বলেছেন। ‘কৃষ্ণের সংসার কর ছাড়ি অনাচার।’

👉সংসার না করে ধর্ম আচরণ করা যায়। কিন্তু ধর্ম আচরণ না করে সংসার করা অত্যন্ত বিপজ্জনক।

[*সংগ্রহীতপোষ্ট*]

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন