হিন্দুরা এত ধর্মান্তরিত হয় কেন???---------
সনাতন ধর্মটাকে গ্রাস করে ফেলছে এক ভয়ানক সর্বনাশী প্রক্রিয়া । যার নাম ধর্মান্তর ।প্রথমে জেনে নিই ধর্মান্তরিত হওয়ার পিছনে কি কি কারন বা কেন ধর্মান্তরিত হয় ?
প্রথমত
কারন হল ১মঃ। পরিবার থেকে যথাযথ ধর্মীয় শিক্ষার অভাব, অন্যান্য ধর্মের ছেলে মেয়েদের বয়স ৬/৭ বছর হলেই তাদের ধর্মিয় শিক্ষা দেয়া হয় নিজ গৃহে বসে বা ধর্মিও প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে, কিন্তু হিন্দুদের বেলায় তা দেয়া হচ্ছেনা। কেননা একটা বাচ্চা যখন পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হয় তখন কিন্তু তার মধ্যে ধর্মের কোন প্রভাব পড়ে না। তাকে ধীরে ধীরে পরিবার থেকে ধর্মীয় অনুশাসন অনুসরন করে তারপর বড় হতে হয় । আর যখনই পর্যাপ্তপরিমান ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহন করে তখন আর তাকে ধর্মান্তরিত হওয়ার কোন প্রশ্নই উঠে না ।
২য়ঃ
যখন একটা বাচ্চা বড় হয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অর্জনের জন্য পাঠশালা / স্কুল / কলেজ / ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হয় তখন অধ্যয়ন থাকাকালীন সময়ে তাকে তার বন্ধুদের কাছে ধর্ম বিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মূখীন হতে হয় । যখন সে যথার্থ উত্তর দানে ব্যর্থ হয়ে নিজ ধর্মের প্রতি অনিহা জন্মে এবং নিজ ধর্মকে সঠিক বলে মেনে নিতে ভ্রম তৈরি হয় এবং সে তার সহপাঠিদের সামনে মাথা নত করতে বাধ্য হয়।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি যে সন্তান ধর্মীয় শিক্ষায় পারদর্শী হয় সেই সন্তানটি তার পিতামাতা এবং সমাজ সবার জন্যই মঙ্গলকর হয়ে উঠে।কেননা সন্তানকে যথার্থ ধর্মিও শিক্ষা দিলে বাবা মাকে আর বৃদ্ধাশ্রমেও যেতে হয়না।
৩য়ঃ
বর্তমান সনাতন সংস্কৃতি নিয়ে কিছু কথাবার্তা বলা যাক।
বর্তমানে যতজন ধর্মান্তরিত হচ্ছে তার বেশিরভাগ অংশ কিন্তু মেয়ে । কারন হল আমাদের সমাজব্যবস্থা এতটাই উন্নত হয়েছে যার কারনে একজন বাবা_ মা তার সন্তানকে ধর্মীয় শিক্ষা অর্জনে সহায়তা না করে তাকে গানের স্কুলে ভর্তি করে, নাচের স্কুলে ভর্তি করে বা আর্ট স্কুলে ভর্তি করে । তারা চায় তাদের সন্তান একজন একজন সংগীত শিল্পী , নৃত্যশিল্পী হোক আরও কত কি ?
কি লাভ হয়,এতে ধর্মীয় শিক্ষার কাছে এগুলো তুচ্ছ । কিছুদিন পর ঐ সন্তানগুলোই নেচে নেচে ধর্মান্তর নামক সর্বনাশী পথ বেচে নেয় যখন ঐ বাবা বা মায়ের লজ্জা,তাচ্ছিল্য আর বোবাকান্না ছারা আর কিছু করার থাকে না ।
দেখা যাক শাস্ত্র কি বলছে এ নিয়ে :-
পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অজুর্ন কে শ্রীমদ্ভগবত গীতাতে বলেছেন:-
শ্রেয়ান্ স্বধর্মো বিগুণঃ পরধর্মাত্ স্বনুষ্ঠিতাত্৷
স্বধর্মে নিধনং শ্রেয়ঃ পরধর্মো ভয়াবহঃ৷৷৩/৩৫
অর্থ: স্বধর্মের অনুষ্ঠান দোষযুক্ত হলেও উত্তমরুপে অনুষ্ঠিত পরধর্ম থেকে উৎকৃষ্ট। স্বধর্ম সাধনে যদি মৃত্যু হয় তাও মঙ্গলজনক কিংবা অন্যের ধর্মের অনুষ্ঠান করা বিপদজনক।।।
অধর্মাভিভবাত্কৃষ্ণ প্রদুষ্যন্তি কুলস্ত্রিয়ঃ৷
স্ত্রীষু দুষ্টাসু বার্ষ্ণেয় জায়তে বর্ণসঙ্করঃ৷৷১/৪১।
অর্থ: হে কৃষ্ণ, অধর্মের দ্বারা অভিভূত হলে কুলবধুগণ ব্যভিচারে প্রবৃত্ত হয় এবং কুলস্ত্রীগণ অসৎচরিত্রা হলে অবাঞ্চিত প্রজাতি উৎপন্ন হয়।
দোষৈরেতৈঃ কুলঘ্নানাং বর্ণসঙ্করকারকৈঃ৷
উত্সাদ্যন্তে জাতিধর্মাঃ কুলধর্মাশ্চ শাশ্বতাঃ৷৷১/৪৩।
অর্থ: যারা বংশের ঐতিহ্য নষ্ট করে এবং তার ফলে অবাঞ্চিত সন্তানাদি সৃষ্টি করে, তাদের কুকর্মজনিত দোষের ফলে সর্বপ্রকার জাতীয় উন্নয়ণ প্রকল্প এবং বংশের কল্যাণধর্ম উচ্ছনে যায়। ফলে সনাতন জাতিধর্ম ও কুলধর্ম বিনষ্ট হয়।
যে পরিবারের সন্তানদের ধর্মীয় শিক্ষা দেন না
তাদের ছেলে মেয়েরা?
ফল সরুপ সে তার মা বাবা কে কাফের বলে
গালি দিয়ে ধর্মান্তরিত হয় অন্য ধর্মের ছেলের প্রেমের ফাঁদে পরে।
কিন্তু আমাদের শাস্ত্র এমনটা বলছেনা শাস্ত্র বলছে সম্পুর্ন ভিন্ন কথা :-
নাস্তি বুদ্ধিরযুক্তস্য ন চাযুক্তস্য ভাবনা৷
ন চাভাবয়তঃ শান্তিরশান্তস্য কুতঃ সুখম্৷৷২/৬৬
অর্থ: যে ব্যক্তি কৃষ্ণ ভাবনায় যুক্ত নন তার চিত্ত সংযত নয় এবং তার পরমার্থিক বুদ্ধি থাকতে পারে না। আর পরমার্থ চিন্তাশুন্য ব্যক্তির বিষয় তৃষ্ণার বিরতি নেই। এই রকম বিষয়-তৃষ্ণাক্লিষ্ট ব্যক্তির প্রকৃত সুখ কোথায়?
সর্বধর্মান্পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্রজ৷
অহং ত্বা সর্বপাপেভ্যো মোক্ষয়িষ্যামি মা শুচঃ৷৷১৮/৬৬
অর্থ: সমস্ত ধর্ম পরিত্যাগ করে কেবল আমার শরনাগত হও। আমি তোমাকে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করব। সে বিষয়ে তুমি কোন দুশ্চিন্তা করো না।
এই শ্লোকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সকল ধর্মকে বাতিল করে দিয়ে একমাত্র তার চরনে আত্মসমর্পণ করার কথা বলছেন, কিন্তু আমরা কি করছি ধর্মন্তরিত হয়ে নিজে সহ ১৪ পুরুষ পর্যন্ত নরকে নিচ্ছি।
সুতরাং, পরিশেষে সনাতনী সমাজের অজ্ঞতা ও অসচেতনতাই এর মূল কারন তাই সনাতনী পিতা_মাতাকে বলবো আপনি আপনার নিজ নিজ সন্তানকে ধর্মীয় শিক্ষা প্রদান করুন এবং ধর্মন্তরনের কুফল সম্পর্কে তাদের জানান, আর যেন একটি ফুল ও অকালে ঝরে না যায়,প্রতি দিনঘুম থেকে ওঠে ভগবানকে প্রণাম করতে শেখান,নিজে করুন এবং সন্তানদের কে অনুপ্রাণিত করুন। গীতা পাঠ করুন, গ্রন্থ পাঠ করুন,সপ্তাহে পরিবার নিয়ে নিকটস্থ মন্দিরে যান,সন্ধায় তুলসি আরতি করুন, গৌর আরতি করুন, ভগবানের মহিমা ভক্ত সঙ্গে আলোচনা করুন, সর্বোপরি বলব, সনাতনের জয় সদা সবর্দা হয়, বৈষ্ণব দাসানুদাস সুবাহু বলদেব দাস।।
[*সংগ্রহীতপোষ্ট*]
সনাতন ধর্মটাকে গ্রাস করে ফেলছে এক ভয়ানক সর্বনাশী প্রক্রিয়া । যার নাম ধর্মান্তর ।প্রথমে জেনে নিই ধর্মান্তরিত হওয়ার পিছনে কি কি কারন বা কেন ধর্মান্তরিত হয় ?
প্রথমত
কারন হল ১মঃ। পরিবার থেকে যথাযথ ধর্মীয় শিক্ষার অভাব, অন্যান্য ধর্মের ছেলে মেয়েদের বয়স ৬/৭ বছর হলেই তাদের ধর্মিয় শিক্ষা দেয়া হয় নিজ গৃহে বসে বা ধর্মিও প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে, কিন্তু হিন্দুদের বেলায় তা দেয়া হচ্ছেনা। কেননা একটা বাচ্চা যখন পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হয় তখন কিন্তু তার মধ্যে ধর্মের কোন প্রভাব পড়ে না। তাকে ধীরে ধীরে পরিবার থেকে ধর্মীয় অনুশাসন অনুসরন করে তারপর বড় হতে হয় । আর যখনই পর্যাপ্তপরিমান ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহন করে তখন আর তাকে ধর্মান্তরিত হওয়ার কোন প্রশ্নই উঠে না ।
২য়ঃ
যখন একটা বাচ্চা বড় হয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অর্জনের জন্য পাঠশালা / স্কুল / কলেজ / ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হয় তখন অধ্যয়ন থাকাকালীন সময়ে তাকে তার বন্ধুদের কাছে ধর্ম বিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মূখীন হতে হয় । যখন সে যথার্থ উত্তর দানে ব্যর্থ হয়ে নিজ ধর্মের প্রতি অনিহা জন্মে এবং নিজ ধর্মকে সঠিক বলে মেনে নিতে ভ্রম তৈরি হয় এবং সে তার সহপাঠিদের সামনে মাথা নত করতে বাধ্য হয়।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি যে সন্তান ধর্মীয় শিক্ষায় পারদর্শী হয় সেই সন্তানটি তার পিতামাতা এবং সমাজ সবার জন্যই মঙ্গলকর হয়ে উঠে।কেননা সন্তানকে যথার্থ ধর্মিও শিক্ষা দিলে বাবা মাকে আর বৃদ্ধাশ্রমেও যেতে হয়না।
৩য়ঃ
বর্তমান সনাতন সংস্কৃতি নিয়ে কিছু কথাবার্তা বলা যাক।
বর্তমানে যতজন ধর্মান্তরিত হচ্ছে তার বেশিরভাগ অংশ কিন্তু মেয়ে । কারন হল আমাদের সমাজব্যবস্থা এতটাই উন্নত হয়েছে যার কারনে একজন বাবা_ মা তার সন্তানকে ধর্মীয় শিক্ষা অর্জনে সহায়তা না করে তাকে গানের স্কুলে ভর্তি করে, নাচের স্কুলে ভর্তি করে বা আর্ট স্কুলে ভর্তি করে । তারা চায় তাদের সন্তান একজন একজন সংগীত শিল্পী , নৃত্যশিল্পী হোক আরও কত কি ?
কি লাভ হয়,এতে ধর্মীয় শিক্ষার কাছে এগুলো তুচ্ছ । কিছুদিন পর ঐ সন্তানগুলোই নেচে নেচে ধর্মান্তর নামক সর্বনাশী পথ বেচে নেয় যখন ঐ বাবা বা মায়ের লজ্জা,তাচ্ছিল্য আর বোবাকান্না ছারা আর কিছু করার থাকে না ।
দেখা যাক শাস্ত্র কি বলছে এ নিয়ে :-
পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অজুর্ন কে শ্রীমদ্ভগবত গীতাতে বলেছেন:-
শ্রেয়ান্ স্বধর্মো বিগুণঃ পরধর্মাত্ স্বনুষ্ঠিতাত্৷
স্বধর্মে নিধনং শ্রেয়ঃ পরধর্মো ভয়াবহঃ৷৷৩/৩৫
অর্থ: স্বধর্মের অনুষ্ঠান দোষযুক্ত হলেও উত্তমরুপে অনুষ্ঠিত পরধর্ম থেকে উৎকৃষ্ট। স্বধর্ম সাধনে যদি মৃত্যু হয় তাও মঙ্গলজনক কিংবা অন্যের ধর্মের অনুষ্ঠান করা বিপদজনক।।।
অধর্মাভিভবাত্কৃষ্ণ প্রদুষ্যন্তি কুলস্ত্রিয়ঃ৷
স্ত্রীষু দুষ্টাসু বার্ষ্ণেয় জায়তে বর্ণসঙ্করঃ৷৷১/৪১।
অর্থ: হে কৃষ্ণ, অধর্মের দ্বারা অভিভূত হলে কুলবধুগণ ব্যভিচারে প্রবৃত্ত হয় এবং কুলস্ত্রীগণ অসৎচরিত্রা হলে অবাঞ্চিত প্রজাতি উৎপন্ন হয়।
দোষৈরেতৈঃ কুলঘ্নানাং বর্ণসঙ্করকারকৈঃ৷
উত্সাদ্যন্তে জাতিধর্মাঃ কুলধর্মাশ্চ শাশ্বতাঃ৷৷১/৪৩।
অর্থ: যারা বংশের ঐতিহ্য নষ্ট করে এবং তার ফলে অবাঞ্চিত সন্তানাদি সৃষ্টি করে, তাদের কুকর্মজনিত দোষের ফলে সর্বপ্রকার জাতীয় উন্নয়ণ প্রকল্প এবং বংশের কল্যাণধর্ম উচ্ছনে যায়। ফলে সনাতন জাতিধর্ম ও কুলধর্ম বিনষ্ট হয়।
যে পরিবারের সন্তানদের ধর্মীয় শিক্ষা দেন না
তাদের ছেলে মেয়েরা?
ফল সরুপ সে তার মা বাবা কে কাফের বলে
গালি দিয়ে ধর্মান্তরিত হয় অন্য ধর্মের ছেলের প্রেমের ফাঁদে পরে।
কিন্তু আমাদের শাস্ত্র এমনটা বলছেনা শাস্ত্র বলছে সম্পুর্ন ভিন্ন কথা :-
নাস্তি বুদ্ধিরযুক্তস্য ন চাযুক্তস্য ভাবনা৷
ন চাভাবয়তঃ শান্তিরশান্তস্য কুতঃ সুখম্৷৷২/৬৬
অর্থ: যে ব্যক্তি কৃষ্ণ ভাবনায় যুক্ত নন তার চিত্ত সংযত নয় এবং তার পরমার্থিক বুদ্ধি থাকতে পারে না। আর পরমার্থ চিন্তাশুন্য ব্যক্তির বিষয় তৃষ্ণার বিরতি নেই। এই রকম বিষয়-তৃষ্ণাক্লিষ্ট ব্যক্তির প্রকৃত সুখ কোথায়?
সর্বধর্মান্পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্রজ৷
অহং ত্বা সর্বপাপেভ্যো মোক্ষয়িষ্যামি মা শুচঃ৷৷১৮/৬৬
অর্থ: সমস্ত ধর্ম পরিত্যাগ করে কেবল আমার শরনাগত হও। আমি তোমাকে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করব। সে বিষয়ে তুমি কোন দুশ্চিন্তা করো না।
এই শ্লোকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সকল ধর্মকে বাতিল করে দিয়ে একমাত্র তার চরনে আত্মসমর্পণ করার কথা বলছেন, কিন্তু আমরা কি করছি ধর্মন্তরিত হয়ে নিজে সহ ১৪ পুরুষ পর্যন্ত নরকে নিচ্ছি।
সুতরাং, পরিশেষে সনাতনী সমাজের অজ্ঞতা ও অসচেতনতাই এর মূল কারন তাই সনাতনী পিতা_মাতাকে বলবো আপনি আপনার নিজ নিজ সন্তানকে ধর্মীয় শিক্ষা প্রদান করুন এবং ধর্মন্তরনের কুফল সম্পর্কে তাদের জানান, আর যেন একটি ফুল ও অকালে ঝরে না যায়,প্রতি দিনঘুম থেকে ওঠে ভগবানকে প্রণাম করতে শেখান,নিজে করুন এবং সন্তানদের কে অনুপ্রাণিত করুন। গীতা পাঠ করুন, গ্রন্থ পাঠ করুন,সপ্তাহে পরিবার নিয়ে নিকটস্থ মন্দিরে যান,সন্ধায় তুলসি আরতি করুন, গৌর আরতি করুন, ভগবানের মহিমা ভক্ত সঙ্গে আলোচনা করুন, সর্বোপরি বলব, সনাতনের জয় সদা সবর্দা হয়, বৈষ্ণব দাসানুদাস সুবাহু বলদেব দাস।।
[*সংগ্রহীতপোষ্ট*]
Hindu dormo chara onno dormo alo kano
উত্তরমুছুন