২৪.৮.১৮

গুরুদেব ও ভগবানের অবতারের মধ্যে পার্থক্য কি?

গুরুদেব ও ভগবানের অবতারের মধ্যে পার্থক্য কি?

প্রথমেই জানি,গুরু কি?
যিনি আমাকে অজ্ঞানতার অন্ধকার থেকে,পারমার্থিক জ্ঞান দ্বারা উদ্ধার করে,ভগবদ্ধামে নিয়ে যেতে সাহায্য করেন।
তিনি অবশ্যই ভগবানের বহিরঙ্গা প্রকাশ। যেহেতু তিনি শ্রীকৃষ্ণের বিশেষ প্রতিনিধি-তাই তাঁর উপর এক বিশেষ ক্ষমতা ভগবান প্রদাণ করেন।
বেদ অনুসারে সদগুরুর লক্ষণ-

'তদ্বিজ্ঞানার্থং স গুরুমেভাভিগচ্ছেৎ
সমিৎপাণি শ্রোত্রিয়ং ব্রহ্মনিষ্ঠম।'

গুরুদেবকে অবশ্যই তাঁর গুরুদেবের কাছে যেতে হবে,এবং বৈদিক জ্ঞান অবশ্যই যথাযথভাবে লাভ করতে হবে।

তবে সদগুরুর প্রধাণ লক্ষণ হচ্ছে-তিনি সরাসরি ভগবানের ভক্ত। তিনি ভগবানের বাণী প্রচারের মাধ্যমে শ্রীকৃষ্ণের সেবা করেন।
ভগবান যিনি বিশ্ব-ব্রহ্মান্ডের মালিক,তুমি চাইলে তাঁর কাছে যেকোন জাগতিক বস্তু প্রাপ্ত হতে পার। কিন্তু মানবজীবনের যে আসল উদ্দেশ্য-মোক্ষলাভ (বারবার জন্ম-মৃত্যুর চক্র থেকে বের হওয়া) প্রাপ্ত করাতে স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণও অক্ষম। যা একমাত্র গুরুই পারেন।
এতটা ক্ষমতা (power) দিয়ে ভগবান গুরুকে পাঠান।

ইহাই এক অন্যতম কারনরূপে ভগবান অবতারও ধারণ করেন,এবং একইসাথে গুরুরূপেও আসেন।
স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণও দীক্ষাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন (আমাদের দীক্ষার প্রয়োজন বোঝাতে)।
অর্জুন যেই মূহুর্তে তাঁকে গুরুরূপে বরণ করলেন এবং বললেন-

'শিষ্যস্থেহহং শাধি মাং ত্বাং প্রপন্নম'

"আমি আপনার শিষ্য,আমি আপনার শরণাগত আত্মা। দয়া করে আমাকে নির্দেশ দিন।"
এরপর তিনি গীতার উপদেশ দিলেন। যে উপদেশই আমরাও পালন করে চলেছি। অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণই হচ্ছেন আদি গুরু।

'তেনে ব্রহ্ম হৃদা য আদিকবয়ে'-

তিনি ব্রহ্মাকে প্রথম বৈদিক জ্ঞান প্রদাণ করেন। অর্থাৎ ব্রহ্মা তাঁর শিষ্য। আবার ব্রহ্মার শিষ্য নারদমুনি।
নারায়ণ- ব্রহ্মা- নারদ- ব্যাসদেব- শুকদেব....
এইভাবে গুরু পরম্পরার ধারায় সঠিক জ্ঞান লাভ করতে হয়।

যেমন গীতায় ভগবানের প্রধাণ আদেশ ছিল-

'সর্বধর্মান পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্রজ'

"সব রকমের ধর্ম পরিত্যাগ করে আমার শরণাগত হও"।
কিন্তু এই "সব রকমের ধর্ম"- বলতে মানুষ তাঁর নির্দেশ বুঝতেই ভুল করল। কারন আমাদের বুদ্ধি বিকৃত,কলুষিত- যার জন্য আমরা উলটো অর্থ করে ফেলি।
একদম সঠিক অর্থটা বোঝাবে কে?
গুরুদেব।

তাই শ্রীকৃষ্ণ আবার মহাপ্রভু রূপে আবির্ভূত হয়ে শিক্ষা দিলেন- কিভাবে শ্রীকৃষ্ণের কাছে আত্মনিবেদন করতে হয়। এই হচ্ছে গুরু ও শ্রীকৃষ্ণের,মানুষকে উদ্ধারের লাগি বিশেষ কর্ম।
গুরুরা কখনই ভিন্ন ধরনের নন! তবে দেখতে হবে- গুরুদেব পরম্পরার ধারায় আছেন কি না? অর্থাৎ আদি গুরু শ্রীকৃষ্ণ--এই সারিতে তিনি আছেন কি না??
তাহলে তিনি অবশ্যই সদগুরু।।

collected

২২.৮.১৮

কলিযুগে কি হবে ??


কলিযুগের বয়স ৪ লক্ষ ৩২ হাজার
বছর....

৫০০০ বছর অতিক্রম
করেছে...৪২৭০০০ বছর রয়েছে।
আজ থেকে ৫০০ বছর আগে
চৈতন্য মহাপ্রভু
এসেছিলেন,তিনি
বলেছেন..এখন থেকে ১০
হাজার বছর পরে ঘোরকলি শুরু
হয়ে যাবে। অর্থাৎ তখন আর ধর্ম
থাকবে না। ৫০০বছর চলে
গেছে, অর্থাৎ এখন থেকে
৯৫০০বছর পরে পৃথিবীতে আর
কোন ধর্ম থাকবে না। এসম্পর্ক
শাস্ত্রে বলা হয়েছে,কলির
প্রভাবে কেউ আর হরি নাম
নেবে না। বেদব্রত সম্তই লুপ্ত
হবে..মিথ্যার প্রভাবে সবাই
কামাচারী হবে। বিবাহের
ব্যতিক্রম হবে। নারী পুরুষের
মাঝে কোন ভেদ থাকবে না।
সব আচার বিচার বিলুপ্ত হবে।
রমনীর আজ্ঞায় সকল পুরুষ চলবে।
নরহত্যাকরী আর প্রবঞ্চক চোরে
সাধুরে নিন্দা করবে। নারীরা
অষ্টম বর্ষে যুবতী হবে..বিশ
বছরে জরাজীর্ণ হবে। কলিতে
মাতা,পত্নী,পুত্
রবধু,ভগনী, সকলে ঘোর ব্যভিচার
করবে। ব্যভিচার করে যে ধন
উপার্জন হবে তা দিয়ে পুরুষ
জীবন ধারন করবে।
ভগনী,বিমাতা কোন বিচার না
করে..সকল লোক নিত্য ব্যভিচার
করবে। এক মাত্র নীজ মাতা
পরিহার করে..পরপত্নী সহ বিহার
করবে। কার পতি..কার
পত্নী..কোন ঠিক থাকবে না।
চারি দিকে শুধু পাপ বিরাজ
করবে। বৃক্ষ গুলো সব হবে এক
হাতের সমান..মানুষ হবে এক
আঙ্গুলের সমান। সেই সময় ভগবান
শ্রীকৃষ্ণ কল্কিমূর্ত্তি ধরে
আবির্ভূত হবেন। বিশাল ষোটকে
কল্কি আরোহন করে, ভুবন থেকে
তিন রাত্রে ম্লেচ্ছশূণ্য করিবে।
বাসের অযোগ্য হবে এই ধরাতল।
সূর্যের তেজের প্রভাবে ধরনীর
সকল জল শুষ্ক হয়ে যাবে। ভীষণ
সেই কলিকাল অতীত হলে, এই
ধরায় ধর্মে আবার পরিপূর্ণ হবে।
সত্যযুগ ধরণীতে আসিবে আবার।
পৃথিবীতে তখন ধর্মের প্রচার
হবে। কলির প্রভাবে সব সদাচার
লুপ্ত ছিল, সত্যযুগে পুনরায় তা
প্রতিষ্ঠিত হবে। সর্ব লোকের
মাঝে বেদ-স্মৃতি ''কৃষ্ণনাম''
আবার প্রচালিত হবে। যারা
ঘোরকলিতে জন্মগ্রহন
করবে..তারা কত দুর্ভাগা,তাদের
মুক্তির পথ সুদূর প্রসারী। যখন ধর্ম
থাকবে না..তখন মা-বাবা, ভাই-
বোন এদের মধ্যে কোন সম্পর্ক
থাকবে না। ফলে সবাই ব্যভিচার
করবে। সেই দিন সামনে আসছে।
যার নমুনা এখনি শুরু হয়ে গেছে।
শাস্ত্রে বলা হয়েছে.কলির
প্রভাবে কলিকালে কপট ধর্মের
সৃষ্টি হবে। সেখানে সৃষ্টকর্তা
কে সেটাই তারা জানবে না।

collected

দেবতা ও ভগবানের পার্থক্য?


দেবতা ও ভগবানের পার্থক্য?


সাধারণত হিন্দু সমাজে কিছু মানুষ
দেবতা ও
ভগবানের পার্থক্য জানে না। ইন্দ্র, চন্দ্র,
বরুণ, শিব, দুর্গা, কালী প্রভৃতি
দেবতাদের
সঙ্গে বিষ্ণু, নারায়ণ, রাম, নৃ্সিংহ, বামন
প্রভৃতি ভগবানের সম পর্যায়ভুক্ত বলে
মনে
করে থাকেন। এটি আমাদের জানা উচিত
যে
ভগবান ও দেবতাদের মধ্যে বিরাট
পার্থক্য
আছে। যেমন- দেবতারা হচ্ছেন ভগবানের
দ্বারা নিযুক্ত এ জড়জগতের বিভিন্ন
কার্য
সম্পাদনের নিয়ন্ত্রণ কর্তা। যে ভাবে
অগ্নি
দেবতা অগ্নি নিয়ন্ত্রণ করেন; বরুণদেব
জলের
নিয়ন্ত্রণ করেন; বায়ু দেবতা বায়ু
নিয়ন্ত্রণ
করেন ইত্যাদি। শাস্ত্র অনুসারে
দেবতারা
জীবতত্ত্ব। যে কোন জীব ভগবান থেকে
বিশেষ শক্তি প্রাপ্ত হয়ে দেবতাদের
আসন
গ্রহণ করতে পারেন। কিন্তু ভগবান
জীবতত্ত্ব
নন, তিনি হচ্ছেন বিষ্ণু তত্ত্ব। দেবতাদের
আধিপত্য এই জড়জগতে সীমাবদ্ধ, কিন্তু
ভগবানের আধিপত্য বা ঐশ্বরত্বের
প্রভাব জড়
ও চিন্ময় জগত সর্বত্র ব্যাপ্ত। দেবতারা
মানুষকে একমাত্র ভৌতিক সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য
প্রদান করতে পারেন, কিন্তু মুক্তি দিতে
পারেন না। ভগবান জীবকে মুক্তি প্রদান
করতে পারেন। দেবতারা মায়াধীন,
কিন্তু
ভগবান হচ্ছেন মায়াধীশ। সৃষ্টি ও
প্রলয়কালে
দেবতাদেরও প্রভাবিত হতে হয়, কিন্তু
ভগবান
নিত্য বর্তমান এবং তার ধামও নিত্য
বর্তমান।
এইভাবে ইন্দ্রলোক, চন্দ্রলোক প্রলয়ের
সময়ে
সব ধ্বংস প্রাপ্ত হবে। কিন্তু ভগবানের
ধাম-
বৈকুণ্ঠ, অযোধ্যা, গোলক বৃন্দাবন
ইত্যাদি
ধ্বংস প্রাপ্ত হবে না। ইন্দ্র, চন্দ্র প্রভৃতি
দেবতাগণ প্রকৃতির তিনটি গুণ দ্বারা
পরিচালিত হয়ে থাকেন। কিন্তু ভগবান
শ্রীকৃষ্ণ, রাম, নারায়ণ প্রভৃতি গুণাতীত।
তাদের কার্যকলাপ প্রকৃতির তিনটি গুণ
দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় না। সাধারণ মানুষ
এই
সমস্ত পার্থক্য বুঝতে পারে না। দেবতা ও
ভগবানকে এক বা সমপর্যায় বলে মনে
করে
থাকে। এটি অবশ্য জেনে রাখা উচিত
আমাদের বৈদিক সাহিত্যে তেত্রিশ
কোটি
দেবতাদের বর্ণনা করা হয়েছে।
শাস্ত্রানুসারে যারা বিভিন্ন জাগতিক
সুখ-
স্বাচ্ছন্দ্য বা বিভিন্ন ফল অতি সত্ত্বর
লাভ
করতে চান, তারা ভিন্ন ভিন্ন দেবতাদের
উপাসনা করতে পারেন। কিন্তু সেটি
বুদ্ধিমান মানুষের কাজ নয়, কেননা
জাগতিক
ফল অনিত্য। যারা বুদ্ধিমান ব্যক্তি তারা
ভগবানের শরণাগত হন। এভাবে সমস্ত
দেবতাদেরকে ভগবান বলে উপাসনা করা
ঠিক
নয়। তার সঙ্গে সঙ্গে এটুকুও জানতে হবে
যে
দেবতাদের ভগবানের সমান না হলেও
তাঁরা
ভগবানের অতি নিজজন, তাঁরা পূজ্য, তাই
দেবতাদের শ্রদ্ধা করা মানুষের কর্তব্য।
দেবতাদের পূজা করা যেতে পারে,
শ্রদ্ধা
করা যেতে পারে, কিন্তু ভগবানকে ভক্তি
করতে হয়। এভাবে মানুষের ভগবান ও
দেবতাদের মধ্যে পার্থক্য জেনে
শ্রদ্ধাযুক্ত
হয়ে ভগবানের ভক্ত হওয়া কর্তব্য। তা না
হলে
দুর্লভ মনুষ্য জীবনের আসল লক্ষ্যে
পৌছাতে
পারবে না। ভগবদ্গীতায় বর্ণনা করা
হয়েছে-
যান্তি দেবব্রতা দেবান্ পিতৃন্ যান্তি
পিতৃব্রতাঃ।
ভূতানি যান্তি ভূতেজ্যা যান্তি
মদ্যাজিনোহপি মাম্।।
(ভঃগী ৯/২৫)
দেবতাদের উপাসনা করলে দেবলোক
যাবে,
পিতৃপুরুষদের উপাসনা করলে পিতৃলোক
যাবে,
ভূত-প্রেতের পূজা করলে ভূতলোক যাবে।
কৃষ্ণের উপাসনা করলে কৃষ্ণের ধামে
যাবে।
দেবতাদের পূজা করে দেবলোক যাবে
এবং
কৃষ্ণের পূজা করে কৃষ্ণ লোক যাবে- এটার
মধ্যে পার্থক্য হল- দেবলোক যাওয়ার পর
পুণ্য
শেষ বা ক্ষয় হলে আবার মর্ত্যলোকে
ফিরে
আসতে হবে। ভগবদ্গীতায় বলা
হয়েছে-“আব্রহ্মভূবনাল্লোকাঃ
পুনরাবর্তিনোহর্জুন” কিন্তু ভগবদ্ধামে
গিয়ে
ভগবানকে প্রাপ্ত হলে আর এ জড়জগতে
ফিরে আসতে হবে না। “ মামুপেত্য তু
কৌন্তেয় পুনর্জন্ম ন বিদ্যতে”।“যদ্ গত্বা ন
নিবর্তন্তে তদ্ধাম পরমং মম”। এভাবে
দেখানো হয়েছে জীবনের আবর্ত থেকে
অর্থাৎ বন্ধন থেকে মুক্তি পেতে হলে
জীবনকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শরণাগত
হওয়া|

যদি রাম সৃষ্টিকর্তাই হন কেন তিনি হনুমানের সাহায্য চাইবেন?

যদি রাম সৃষ্টিকর্তাই হন কেন তিনি
হনুমানের সাহায্য চাইবেন? তাহলে
কি সৃষ্টিকর্তার ক্ষমতার কমতি আছে?

উত্তরঃরাম মানবরুপে জন্মেছেন।তাই মানবীয় গুনাবলি মেনেছেন।
আর আল্লাহও কিন্তু জিবরাইলের সাহায্যেনবীর
কাছে আয়াত পাঠিয়েছেন।যদিও শয়তান মাঝে মাঝে ডিস্টার্ব করত।

হিন্দুরা কী সত্যিই বহু দেবদেবীর পূজা করে ???

প্রশ্নঃ হিন্দুরা কী সত্যিই বহু দেবদেবীর পূজা করে ??? 👈

উওরঃ প্রথমেই বলিয়া রাখি যে, ভারতবর্ষে বহু-ঈশ্বরবাদ নাই। প্রতি দেবালয়ের পার্শ্বে দাঁড়াইয়া যদি কেহ শ্রবণ করে, তাহা হইলে শুনিতে পাইবে পূজক দেববিগ্রহে ঈশ্বরের সমুদয় গুণ, এমন কি সর্বব্যাপিত্ব পর্যন্ত আরোপ
করিতেছে। ইহা বহু-ঈশ্বরবাদ নয়, বা ইহাকে কোন দেব-বিশেষের প্রাধান্যবাদ বলিলেও প্রকৃত ব্যাপার ব্যাখ্যাত হইবে না। গোলাপকে যে-কোন অন্য নামই দাও না কেন, তাহার সুগন্ধ সমানই থাকিবে। সংজ্ঞা বা নাম
দিলেই ব্যাখ্যা করা হয় না।… ভাবানুষঙ্গ-নিয়মানুসারে জড়মূর্তি দেখিলে মানসিক ভাববিশেষের উদ্দীপন হয়, বিপরীতক্রমে মনে ভাববিশেষের উদ্দীপন হইলে তদনুরূপ মূর্তিবিশেষও মনে উদিত হয়। এই জন্য হিন্দু
উপাসনার সময়ে বাহ্য প্রতীক ব্যবহার করে। সে বলিবে, তাহার উপাস্য দেবতায় মন স্থির করিতে প্রতীক সাহায্য করে। … মন্দির, প্রার্থনাগৃহ, দেববিগ্রহ বা ধর্মশাস্ত্র – সবই মানুষের ধর্মজীবনের প্রাথমিক অবলম্বন
ও সহায়ক মাত্র, তাহাকে ক্রমশ অগ্রসর হইতে হইবে।

শাস্ত্র বলিতেছেনঃ ‘বাহ্যপূজা – মূর্তিপূজা প্রথমাবস্থা; কিঞ্চিৎ উন্নত হইলে মানসিক প্রার্থনা পরবর্তী স্তর; কিন্তু ঈশ্বরসাক্ষাৎকারই উচ্চতম অবস্থা।’ (মহানির্বাণতন্ত্র, ৪।১২)

🔶🔷 #স্বামীবিবেকানন্দ_হিন্দুধর্ম_শিকাগো_বক্তৃতা 🔶🔷

অহিন্দুরা অনেকে বিশ্বাস করেন যে, আমরা হিন্দুরা বহু দেবদেবীর পূজা করি। এই ধারণা সর্বৈব ভুল। আমরা ব্রহ্ম বা এক ঈশ্বরকেই ভিন্ন ভিন্ন নামে ও ভিন্ন ভিন্ন রূপে আরাধনা করি। আসলে, ভারতের বিভিন্ন
অঞ্চলের মানুষ তাঁদের ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের জন্য ঈশ্বরের নাম ও রূপভেদ সম্পর্কে স্বতন্ত্র্য কিছু ধারণা পোষণ করেন। এই কারণেই, আজকের হিন্দুসমাজে ঈশ্বরের এত রূপবৈচিত্র্য আমাদের চোখে
পড়ে। ইতিহাসের পথ ধরে হিন্দুসমাজে চারটি প্রধান ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সৃষ্টি হয়েছে–শৈব, শাক্ত, বৈষ্ণব ও স্মার্ত। শৈবরা শিবকে ও বৈষ্ণবরা বিষ্ণুকে সর্বোচ্চ ঈশ্বর মনে করেন। শাক্তেরা মনে করেন এই মহাবিশ্বে
মহাশক্তিই সর্বেসর্বা। স্মার্ত মতটি অনেক উদারপন্থী। তাঁরা মনে করেন, সকল দেবতাই সর্বোচ্চ ঈশ্বর ব্রহ্মের স্বরূপ। তাই তাঁরা দেবতা নির্বাচনের ভারটি ভক্তের উপর ছেড়ে দেন। অবশ্য এও মনে রাখতে হবে যে,
স্মার্ত মতটি হিন্দুধর্মে বহুল প্রচলিত হলেও, প্রধান মত নয়। সে যাই হোক, এই মতবৈচিত্র্যের জন্যই হিন্দুরা একে অপরের ধর্মমতের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল হয়ে থাকেন। শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস যেমন বলেছেন, ‘যত
মত তত পথ।’ অর্থাৎ, সকল মতই সেই এক ঈশ্বরের কাছেই পৌঁছানোর এক একটি পথ।

হিন্দুধর্মের একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হল এই যে, আমরা হিন্দুরা ঈশ্বরকে বহুদূরের স্বর্গে বসবাসকারী দেবতা মনে করি না। আমাদের ঈশ্বর বাস করেন আমাদের অন্তরে, আমাদের হৃদয়ে, আমাদের চেতনায়। শুধু তিনি
অপেক্ষা করেন, যতক্ষণ না আমরা আমাদের মধ্যে স্থিত ঈশ্বরকে চিনে নিতে পারি। ঈশ্বর যে আমাদের সঙ্গেই থাকেন, এই কথাটি আমাদের আশা ও শক্তি জোগায়। তাই হিন্দু জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য হল সেই এক ও
অদ্বিতীয় ব্রহ্মকে জানা।

আমরা হিন্দুরা একাধারে মনোথেইস্টিক (একেশ্বরবাদী) ও হেনোথেইস্টিক। আমরা পলিথেইস্টিক বা বহুঈশ্বরবাদী নই। কারণ আমাদের হিন্দুধর্মে সমক্ষমতাসম্পন্ন একাধিক দেবতার অস্তিত্ব স্বীকার করা হয় না।
হেনোথেইজম্-ই হিন্দু মতবাদটির সঠিক সংজ্ঞা গতে পারে। এই মতবাদের মূল কথাটি হল, অন্যান্য দেবতাদের অস্তিত্ব স্বীকার করেও এক ঈশ্বরের আরাধনা করা। আমরা হিন্দুরা বিশ্বাস করি, এক সর্বব্যাপী ব্রহ্ম এই
সমগ্র ব্রহ্মাণ্ডের শক্তির উৎস। মানুষ সহ সকল জীবের জীবনের মধ্যেই আমরা তাঁকে প্রত্যক্ষ করি। সকল জীবের মধ্যে ঈশ্বরের অবস্থান ও ঈশ্বর কর্তৃক সকল জীবের প্রাণধারণের এই মতবাদটিকে বলে
প্যানেনথেইজম। প্যানথেইজমের থেকে এটি আলাদা। কারণ, প্যানথেইজম বলে প্রাকৃতিক ব্রহ্মাণ্ডখানিই ঈশ্বর এবং তার বেশি কিছু নয়। অন্যান্য ধর্মের রক্ষণশীল ধর্মতাত্ত্বিকগণ মনে করেন, ঈশ্বর জগতের উর্ধ্বে,
জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন এবং মানুষের অভিজ্ঞতা ও বুদ্ধির অগম্য। হিন্দুধর্ম তা মনে করে না। প্যানেনথেইজম একটি সর্বময় ধারণা। এটি বলে, ঈশ্বর জগতের ভিতরে ও বাইরে দুই স্থানেই আছেন। তিনি একাধারে মানুষের
চেতনার আয়ত্তাধীন, আবার অগম্যও বটে। এই বৃহত্তর ধারণাটিই হিন্দুর ধারণা।

আমাদের হিন্দুদের বিভিন্ন শাখাসম্প্রদায়ে ব্রহ্মের নানান নাম প্রচলিত রয়েছে। এই নামবৈভিন্ন্যের কারণ সম্প্রদায়গুলির স্বতন্ত্র ধর্মীয় প্রথা ও রীতিনীতি। আর এই নামবৈভিন্ন্যই অহিন্দুদের যাবতীয় ভ্রান্ত ধারণার কারণ।
হিন্দুরা পরম সত্যকে বিভিন্ন নামে চিহ্নিত করে, কিন্তু তাই বলে পরম সত্য স্বয়ং বিভিন্ন হয়ে যান না। এই বিভিন্ন নাম থেকে বিভিন্ন রূপের উৎপত্তি; কিন্তু প্রত্যেক রূপই সেই এক এবং অদ্বিতীয় ব্রহ্মের
রূপান্তর-মাত্র। হিন্দুধর্মে ঈশ্বরের কাছে পৌঁছানোর অনেক পথের সন্ধান দেওয়া হয়েছে। আমরা হিন্দুরা প্রতিটি পথকেই অভ্রান্ত মনে করি। তাই কোনো একটি নির্দিষ্ট পথকে সকলের উপর জোর করে চাপিয়ে
দেওয়ার পক্ষপাতী আমরা নই। পথ নির্বাচনের ব্যাপারে আমরা হিন্দুরা পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করি।

তবে এই বিষয়ে শুধু অহিন্দু নয়, অনেক হিন্দুর মধ্যেও ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। ঈশ্বর ও দেবতার মধ্যে যে সূক্ষ্ম পার্থক্য বিদ্যমান, তা অনুধাবন করতে পারলেই এই ভ্রান্ত ধারণা দূর হয়। ঈশ্বর সম্পর্কে আমাদের হিন্দুদের
ধারণায় কোনো সংকীর্ণতা নেই। এখানে বলে রাখা ভাল, হিন্দুদের একাংশ নিরাকার ঈশ্বরেরও উপাসনা করেন। অন্যেরা দেবতাদের ব্যক্তিগত দেবতা (ইষ্টদেবতা বা কূলদেবতা) হিসেবে পূজা করেন। স্বামী বিবেকানন্দ
এই প্রসঙ্গে একটি প্রণিধানযোগ্য উক্তি করেছেন, “যে একাগ্র সাধক জানু পাতিয়া দেববিগ্রহের সম্মুখে পূজা করেন, লক্ষ্য কর – তিনি তোমাকে কি বলেন, ‘সূর্য তাঁহাকে প্রকাশ করিতে পারে না; চন্দ্র তারা এবং এই
বিদ্যুৎও তাঁহাকে প্রকাশ করিতে পারে না; এই অগ্নি তাঁহাকে কিরূপে প্রকাশ করিবে? ইহারা সকলেই তাঁহার আলোকে প্রকাশিত।’ (কঠ উপনিষদ ২।২।১৫; শ্বেতাশ্বেতর উপনিষদ ৬।১৪; মুণ্ডক উপনিষদ ২।২।১০)
তিনি কাহারও দেববিগ্রহকে গালি দেন না বা প্রতিমাপূজাকে পাপ বলেন না। তিনি ইহাকে জীবনের এক প্রয়োজনীয় অবস্থা বলিয়া স্বীকার করেন। শিশুর মধ্যেই পূর্ণ মানবের সম্ভাবনা নিহিত রহিয়াছে। বৃদ্ধের পক্ষে
শৈশব ও যৌবনকে পাপ বলা কি উচিত হইবে? হিন্দুধর্মে বিগ্রহপূজা যে সকলের অবশ্য কর্তব্য, তাহা নয়। কিন্তু কেহ যদি বিগ্রহের সাহায্যে সহজে নিজের দিব্য ভাব উপলব্ধি করতে পারে, তাহা হইলে কি উহাকে
পাপ বলা সঙ্গত?” (‘হিন্দুধর্ম’, শিকাগো বক্তৃতা) বিশ্বের প্রাচীনতম জীবিত এবং সর্বাপেক্ষা ঐশ্বর্যশালী ধর্মমতের এই বৈশিষ্ট্য অনন্য। স্বামী বিবেকানন্দের ভাষায়, ‘বহুত্বের মধ্যে একত্বই প্রকৃতির ব্যবস্থা,
হিন্দুগণ এই রহস্য ধরিতে পারিয়াছেন।’ (‘হিন্দুধর্ম’, শিকাগো বক্তৃতা)

সূত্রঃস্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা, প্রথম খণ্ড, উদ্বোধন কার্যালয়, কলকাতা।
হিন্দুইজম টুডে পত্রিকা।

ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সম্পর্কে চমকপ্রদ কিছু তথ্য ...

জেনে নিই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সম্পর্কে
চমকপ্রদ কিছু তথ্য ....
 __ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ
দ্বাপর যুগের শেষে আজ থেকে পাঁচ
হাজার দুইশত আটত্রিশ বছর আগে
পৃথিবীতে এসেছিলেন।। তিনি 125 বছর এই
ধরাধামে ছিলেন।।

__ কৃষ্ণ যদু বংশে আবির্ভূত হয়েছিলেন।। __
কৃষ্ণ অভ্যাসগত কারনে যখন দাঁড়িয়ে বাঁশি
বাজান তখন ডান পা সামনে রাখেন আর
বাম পা দিয়ে পেছনে ভারসাম্য রক্ষা
করেন।

__ কৃষ্ণের 16108 জন গোপিকা ছিলেন।। এর
মধ্যে 108 জন শ্রেষ্ঠ।। তাঁদের মধ্যে আট
জনহলেন অসাধারণ।। রাধারানী হলেন
সর্বশ্রেষ্ঠ এবং অন্তরঙ্গা শক্তি।।
শাস্ত্রে বলে,রাধা পূর্ণ শক্তি, কৃষ্ণ পূর্ণ
শক্তিমানদুই বস্তু ভেদে নাই, শাস্ত্রের
প্রমাণ।।
__ কৃষ্ণের চরণ কমলে উনিশটি শুভ চিহ্ন
রয়েছে।।

__ তাঁর গায়ের রং ঈষৎ নীল ঈষৎ কালো।।
তিনি পীত বস্ত্র পরিধান করতে পছন্দ
করেন।।

__ তিনি সর্বদা বৈজয়ন্তী মালা গলায়
ধারণ করে থাকেন যা হাঁটু পর্যন্ত বিস্তৃত
থাকে।।

__ তিনি কখনোই ক্ষুধার্ত বা তৃষ্ণার্ত হন
না।।

__ কোন প্রকার রোগ শোক তাঁকে স্পর্শ
করতে পারে না।।

_ তিনি গরীব দুঃখী এবং ব্রাহ্মনদের
ভোজন করিয়েছিলেন।। বয়স্কদের সেবা
করেছিলেন এবং বিভিন্ন রকম জন
কল্যাণকর কার্য সম্পাদন করেছিলেন।। _
তাঁর শঙ্খের নাম পাঞ্চজন্য এবং ধনুকের
নাম সারঙ্গ।।

__ তিনি একমাস বয়সে পুতনা এবং বার বছর
বয়সে কংসকে বধ করেছিলেন।। __ তিনি
দ্রৌপদীকে অপরিমেয় বস্ত্র দান করে
রক্ষা করেছিলেন।।

__ তিনি সব সময় তাঁর সিদ্ধান্তে অটল।।
মহাভারতের কোথাও তাঁকে সিদ্ধান্ত
পরিবর্তন করতে দেখা যায় নাই।

__ তাঁররাজত্বকালে তাঁকে কেউই পরমেশ্বর
ভগবান বলে চিনতে পারেননি।। তবে
চিনতে পেরেছিলেন শুধু একজন।। তিনি
ভীষ্মদেব।। আর কৃষ্ণ নিজে প্রকাশিত
হয়েছিলেন এবং বিশ্ব রুপ দেখিয়েছিলেন
শুধু অর্জুনকে।। গীতার জ্ঞান প্রকাশিত
হওয়ার পরই আজ এই কলিযুগের মানুষেরা
তাঁকে ভগবান বলে চিনতে পেরেছে।।

পিয়াজ রসুন মসুর ডাল প্রভৃতি কে আমিষ খাদ্য বলা হয় হচ্ছে কেন ???

প্রশ্নঃ পিয়াজ রসুন মসুর ডাল প্রভৃতি হচ্ছে গাছের
ফল। তবুও কেন সেগুলিকে আমিষ খাদ্য বলা হয়
হচ্ছে? 
এটা কি কুসংস্কার?
পিয়াজ রসুন এগুলো গাছের ফলও নয় আমিষ খাদ্য ও
নয়। সাত্বিক খাদ্যই মন ও শরীর গঠনের অনুকূল।
ডিম মাছ কচ্ছপ চিংড়ি কাঁকড়া হাঁস কাক ছাগল কুকুর শুকর গরু
বাদুড় মানুষ ইত্যাদি রক্ত মাংস যুক্ত তন্মধ্যে বস্তুকে
আহার করাই হচ্ছে সমাজের কুসংস্কার। পিয়াজ রসুন
মসুর ডাল প্রভৃতি খাদ্য অধিক উত্তেজক বস্তু
জেনে আত্বিক ব্যক্তিরা এগুলি গ্রহন করতে
নিষেধ করেছেন মাত্র। পুরানে উক্ত হয়েছে
সমুদ্র মন্থনকালে উত্থিত অমৃত ভগবান মুহিনী
অবতার দ্বারা পরিবেশ কালে দেব ছদ্মবেশী
রাহুনামক এক অসুর অমৃত গ্রহন করেছিলেন। এমন
সময় চন্দ্র সূর্যদেবের ইঙ্গিতে মুহিনী অবতার
সুদর্শন চক্র দিয়ে রাহুর গলা কেটে দেন। রাহু
অসুরের রক্ত মাটিতে পতিত হলে সেখান থেকে
পিয়াজ রসুনের জন্ম হল। তাই পিয়াজ রসুন গ্রহন
করলে শরীরে আসুরিক ভাব ও উত্তেজনা বৃদ্ধি
পায়। সেই হেতু ঐ উত্তেজক পদার্থ সাধু ব্যক্তিগণ
গ্রহন করেন না মুনুসংহিতায় পিয়াজ রসুন খেতে
নিষেধ রয়েছে।
মসুর ডালও এই রকমই ডাল যা অন্যান্য আমিষ খাদ্যের
মতোই মানুষের শরীরে আত্বিক ভাব নষ্ট করে।
মাছ মাংস ডিম ইত্যাদি উগ্র হিংস্র প্রাণীর খাদ্য মানুষকে
খেতে নিষেধ করা হয়েছে। ফল ফুল পাতা ইত্যাদি
উদ্ভিজ খাদ্য মানুষকে গ্রহন করতে ভগবান নির্দেশ
দিয়েছেন। গাছ থেকে ফল ফুল পাতা মাঠিতে ঝরে
পড়লে তবে সেই ফল ফুল পাতা খাদ্য হিসাবে গ্রহন
করা যাবে। নতুবা গ্রহন করা পাপ হবে। এরকম কথা
আমরা শুনিনি। লাউ, পুঁই, বেগুন, কুমড়ো, শশা, লংকা,
ঢেঁড়স, ইত্যাদি গাছ থেকে পাতা কিংবা ফল ঝরে
পড়লে সেই পাতা বা ফল খাওয়া যাবে নতুবা যাবে না
এ্ই রকম কথা কোথাও লেখা নেই। ভগবানকে পূজা
করতে হলে গাছ থেকে ফুল তুলতেই হয়।
অতএব ভগবানকে নিবেদন করে উদ্ভিজ খাদ্য
গ্রহন করলে কোন পাপ হয় না ।
হরে কৃষ্ণ......

collected

দশবিধ নাম অপরাধ গুলো কি কি ?

দশবিধ নাম অপরাধ গুলো কি কি ?
উত্তরঃ
۞ যে সমস্ত ভক্ত ভগবানের দিব্য নাম প্রচার করার জন্য নিজেদের সর্বতোভাবে উৎসর্গ করেছেন তাঁদের নিন্দা করা।
۞ “শিব , ব্রহ্মা আদি দেবতাদের নাম ভগবানের নামের সমান অথবা তা থেকে স্বতন্ত্র বলে মনে করা।
۞ গুরুদেবকে অবজ্ঞা করা।
۞ বৈদিক শাস্ত্র বা বৈদিক শাস্ত্রের অনুগামী শাস্ত্রের নিন্দা করা।
۞ ‘ হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র ‘ কীর্তন করার মাহাত্মকে কাল্পনিক বলে মনে করা।
۞ ভগবানের নামে অর্থবাদ আরোপ করা।
۞ নাম বলে পাপ আচরণ করা।
۞ ‘ হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র ‘ উচ্চারণ করাকে বৈদিক কর্মকাণ্ডে বর্ণিত পুণ্যকর্ম বলে মনে করা।
۞ শ্রদ্ধাহীন ব্যক্তিকে ভগবানের দিব্য নামের মহিমা সম্বন্ধে উপদেশ করা।
۞ ভগবানের নামের প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস না থাকা এবং তাঁর অগাধ মহিমা শ্রবন করার পরও বিষয়াসক্তি বজায় রাখা।
কখনোই এই সব অপরাধ করবেন না।
তাই নিজে জানুন অন্য কে জানান।
কর্ম এবং ভাগ্য -
কৃপা করে অবশ্যই পড়বেন ভক্তবৃন্দগন ।
●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●
কর্মবাদী লোকেরা বলেন ভাগ্য কিছুই না , কর্মেই ভাগ্য পরিবর্তন করা যায় । আর ,ভাগ্যবাদী লোকেরা বলেন , কপালে ( ভাগ্যে ) যা লেখা আছে তাই হয় , এবার কর্ম যাই করেন না কেন ।
ভাগ্যবাদী আর কর্মবাদী লোকদের মধ্যে এই তর্ক বিতর্ক কখনো শেষ হতে পারেনা । তবেএটাও ঠিক যে , ভাগ্য আর কর্ম এই দুটির মধ্যে একটি সম্পর্ক অবশ্যই আছে । কর্ম থেকে ভাগ্য বানানো যায় বা ভাগ্য থেকে কর্ম , এই দুইটির মধ্যে কোন ভাল সম্পর্ক অবশ্যই আছে ।
ভাগ্য এবং কর্মের মধ্যে এই সম্পর্কটা বুঝানোর জন্য এই কাহিনীটা খুবই ভাল একটা উদাহরন হতে পারে ।
একবার মহর্ষি নারদ ভগবান বিষ্ণুর কাছে গিয়েছিলেন । তিনি অভিযোগের মনোভাব নিয়ে ভগবানকে বললেন , " পৃথিবীতে আপনার প্রভাব কমে গেছে প্রভু , ধর্মের পথে চলা লোকেরা কোন ভাল ফল পাচ্ছেনা , অথচ যারা পাপ করছে তারা ভাল ফল পাচ্ছে । "
ভগবান বলছেন , " না না এমনটা হতে পারেনা , যা কিছুই হচ্ছে সব নিয়তির মোতাবেক হচ্ছে । " নারদজী মানলেন না । ভগবান বললেন , "এমন কোনো ঘটনা বলো তো ?" নারদজী বললেন এখনই আমি এক জঙ্গল দিয়ে যাচ্ছিলাম , দেখলাম সেখানে একটি গাভী গর্তের মধ্যে আটকে গিয়েছিল , বাঁচানোর মতো কেউ ছিল না । তখনই এক চোর সেখান দিয়ে যাচ্ছিল , গাভীটিকে গর্তে আটকে পরে থাকা অবস্থায় দেখেও সে দাঁড়ায় নি , উল্টো গাভীর উপর পা রেখে সে অতিক্রম করে চলে গেল । কিছুদূর যাওয়ার পর সেই চোরটি সোনার অলংকারের একটি থলি পেয়ে গেল
কিছুক্ষণ পর সেখান দিয়ে একজন বৃদ্ধ সাধু যাচ্ছিল , সেই সাধু গাভীটিকে বাঁচানোর জন্য চেষ্টা করতে থাকে , সারা শরীরের জোড় দিয়ে টেনে টেনে অবশেষে গাভীটিকে উপরে উঠাতে সক্ষম হলো । কিন্তু আমি ( নারদজী ) দেখলাম , সেই সাধু কিছুদূর যাওয়ার পর একটি গর্তের মধ্যে পরেগিয়ে প্রান ত্যাগ করলো । তাহলে ভগবান আপনিই বলুন - এটা কোন ধরনের ন্যায় হলো ?"
ভগবান হাসলেন এবং বললেন , " হে নারদ , এটা ঠিকই হয়েছে । যে চোরটি গাভীর উপর পা রেখে ভেগে গিয়েছিল , তার পাপের কারনে সে কেবল কিছু স্বর্ন মোহরাই পেল যা অস্থায়ী , যেখানে সাধুকে গর্তের মধ্যে এই কারনেই পরতে হয়েছিল যে তার ভাগ্যে মৃত্যই লেখা ছিল , কিন্তু গাভীটিকে বাঁচানোর কারনে তার পুন্য এত বেড়ে গিয়েছিল যে তার মৃত্যুটা একটি ছোট্ট ব্যথায় বদলে গিয়েছিল । তাই হে নারদ , মনুষ্যের কর্মেই তার ভাগ্য নির্ধারিত হয় ।"
তখন নারদজী সন্তুষ্ট হলেন ।
জয় রাধা গোবিন্দের জয়
রাধে রাধে ।।
কৃষ্ণ নামই মুক্তির একমাত্র পথ....
হিন্দু ধর্ম বিষয়ে সকল প্রকার আপডেট পেতে আমাদের এই ছোট পেজটিতে লাইক দিয়ে আমাদের সঙ্গে থাকুন... লাইক করুন- 👍 কৃষ্ণের পবিত্র চিত্ররূপ
নমস্কার

collected

উপাসনার অর্থ কি ?

🌴🌹 উপাসনার অর্থ কি ? 🌴🌹

🌹 উত্তরঃ*- উপাসনা অর্থ ঈশ্বরকে স্মরণ করা...!!
একাগ্র চিত্তে ঈশ্বরকে ডাকা...!!
ঈশ্বরের আরাধনা করা...!!
উপাসনা ধর্ম পালনের অন্যতম প্রধান অঙ্গ পদ্ধতি...!!
ধ্যান, জপ, কীর্তন, পূজা, স্তব-স্তুতি, পদ্ধতিতে উপাসনা করা হয়...!!
একাগ্র চিত্তে ঈশ্বরের চিন্তা করার নাম ধ্যান...!!
নীরবে ঈশ্বরের নাম উচ্চারণ করাকে বলে জপ...!!
সরবে ঈশ্বরের নাম উচ্চারণ বা গুণগান করার নাম কীর্তন...!!
ঈশ্বরের প্রশংসা করে তাঁর নাম উচ্চারণ করাকে বলে স্তব-স্তুতি...!!
উপাসনা করলে দেহ-মন পবিত্র হয়...!!
উপাসনার সময় আমরা ঈশ্বরের প্রশংসা করি...!!
তাঁর আশীর্বাদ প্রার্থনা করি...!! সকলের কল্যাণ কামনা করি...!!

🌹উপাসনা আবার দুই প্রকার...!!
যেমনঃ*- সাকার উপাসনা ও নিরাকার উপাসনা...।।

¶সাকার উপাসনাঃ*-
 'সাকার' অর্থ যার আকার বা রূপ আছে...!! আকার বা রূপের মাধ্যমে ঈশ্বরের আরাধনা করাই সাকার উপাসনা...!!
বিভিন্ন দেব- দেবী, যেমন - ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শিব, কালী, দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী প্রভৃতি ঈশ্বরের সাকার রূপ...!!
আমরা ঈশ্বরকে দেব-দেবীর প্রতিমা রূপে ও অবতার রূপে উপাসনা করি...!!
এরূপ উপাসনায় ভক্ত ঈশ্বরকে সাকার রূপে কাছে পায়...!!
তাঁকে পূজা করে...!!
তাঁর নিকট প্রার্থনা করে...!!

¶নিরাকার উপাসনাঃ*-
 ঈশ্বরকে নিরাকার ভাবেও উপাসনা করা যায়...!! নিরাকার উপাসনায় ভক্ত নিজের অন্তরে ঈশ্বরকে অনুভব করেন...!!
ঈশ্বরের নাম জপ করেন অর্থাৎ নীরবে ঈশ্বরের নাম মনে মনে উচ্চারণ করেন...!!
ঈশ্বরের নাম কীর্তন করেন...!!
তাঁর স্তব- স্তুতি করে তাঁর নিকট প্রার্থনা জানান...!!
নিজের ও জগতের কল্যাণ কামনা করেন...!!
সুতরাং ধ্যান, জপ, কীর্তন, পূজা, স্তব-স্তুতি, পদ্ধতিতে আমরা ঈশ্বরের উপাসনা করবো...!!
উপাসনা একটি নিত্যকর্ম...!!
প্রতিদিন উপাসনা করতে হয়...!!
প্রতিদিন সকাল, দুপুর ও সন্ধ্যায় ঈশ্বরের উপাসনা করা কর্তব্য...!!
উপাসনার জন্য আমাদের দেহ মনের পবিত্রতার প্রয়োজন...!!
পরিষ্কার পরিছন্ন হয়ে উপাসনা করতে হয়...!!
মন্দিরে বা ঘরে বসে উপাসনা করা যায়...।।

👏 লেখার মাধ্যমে যদি কোন ভূল হয় সবাই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
🍃🌻 আশীর্বাদ - Ashirbad 🍃🌻
পেইজে লাইক দিয়ে পেইজের পোষ্ট গুলো পড়ে ধর্ম জ্ঞান অর্জন করুন ।আপনার বন্ধুদের আমাদের পেজে #ইনভাইট করুন যাতে করে তারাও আপনার মত ধর্মীয় ঞ্জান অর্জনের সুযোগ পায়।
☀ 🌷 হরে কৃষ্ণ ☀🌷

collected

এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে ভগবান মহাদেবের অবস্থান

এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে ভগবান মহাদেবের অবস্থান শ্রীমদ্ভাগবত,

ব্রহ্মসংহিতা , পদ্মপুরাণ প্রভৃতিতে খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।


শ্রীমদ্ভাগবত(১২।১৩।১৬) তে বলা হয়েছে "বৈষ্ণবনাম যথা শম্ভু"

অর্থাৎ ভগবান শিব বৈষ্ণবদের ভিতর শ্রেষ্ঠ।


শ্রীমদ্ভাগবত(৬.৩.২০) আমাদের জানায় যে ভগবান শিব হচ্ছে বৈষ্ণব

দর্শনের কর্তৃত্বকারী ১২ জন মহাজনের একজন।

শ্রীমদ্ভাগবত(৪.২৪.৭৬) অনুযায়ী ভগবান শিব বললেন "কেউ যদি তার

রুদ্র গীতা প্রার্থনা পড়ে তাহলে সে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কৃপা লাভ

করতে পারবে।"


ভগবান শিব তার পত্নী মাতা পার্বতী কে বলেন

যে তিনি সমুদ্রমন্থনে উত্থিত হলা হলা বিষ পান করেছিলেন ভগবান

বিষ্ণুকে সন্তুষ্ট করার জন্য।শ্রীমদ্ভাগবত(৮.৭.৪০)

পদ্ম পুরাণে ভগবান শিব মাতা সতীকে বলছেন..."শ্রী রাম রাম

রামেতি রামে রামে মনোরমে সহস্র নামাঃ তত তুলম রাম নামা ভরনানে"

অর্থাৎ ভগবান শিব স্পষ্টত বলছেন যে তিনি রাম নাম জপে তুষ্ট হন।

ভগবান শিব ভগবান বিষ্ণুর মোহিনী মূর্তি দেখে হতভম্ব

হয়ে গিয়েছিলেন। ভগবান শিব পরে প্রকাশ করেন যে তিনি ভগবান

শ্রীকৃষ্ণের অলীক লীলা পুরোপুরি অনুধাবন করতে অসমর্থ।

এটি বলা হয়েছে শ্রীমদ্ভাগবত(৮.১২.১০) শ্লোকে।

যখন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বিশ্বরূপ দর্শন করিয়েছিলেন তখন

অর্জুন বলেছিলেন... " ভগবান শ্রীকৃষ্ণ , আমি আপনার মধ্যে সকল

দেবতা এবং প্রাণীজগতকে দেখতে পাচ্ছি।

আমি দেখতে পাচ্ছি ব্রহ্মা একটি পদ্ম ফুলের উপর

বসে আছেন,তেমনি আমি আপনার ভিতর ভগবান শিব এবং অনন্ত নাগ কেও

দেখতে পাচ্ছি। শ্রীমদ্ভগবত গীতা ( ১১।১৫)

বৃন্দাবনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের রাস লীলার সময় ভগবান শিব

গোপীদের সাথে রাস নৃত্তে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছা প্রকাশ

করেছিলেন।

ব্রহ্মসংহিতা (১০ম শ্লোক) স্পষ্টত প্রতিষ্ঠা করে যে ভগবান মহেশ্বর

ভগবান বিষ্ণুর নিকট থেকে শক্তি প্রাপ্ত হয়েছেন। " ভগবান শম্ভু এই

জড় জগতে কার্যকারণ সম্বন্ধীয় নীতির প্রতিমূর্তি,যিনি পুরুষ

হিসেবে তার পত্নী প্রকৃতির(মায়া) সাথে যুক্ত

হয়ে সৃষ্টি করে চলেছেন। এই বিশ্বের ঈশ্বর ভগবান মহা বিষ্ণু ভগবান

মহেশ্বরের ভিতর প্রতীয়মান আছেন।"

ভগবান শিব অবতার এবং অবেশ কোনটি নন এবং তিনি এই দুটির মধ্যবর্তীও

নন। ভগবান শিব দেবতাদের দেবতা এবং স্বয়ং ব্রহ্মার থেকেও শ্রেষ্ঠ।

ভগবান মহাদেব এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের আধ্যাত্মিক গুরু। তার নিজের

আধ্যাত্মিক সম্প্রদায় রয়েছে এবং সেটি রুদ্র সম্প্রদায় মানে পরিচিত।

Har Har Mohadev


collected

রাধা কৃষ্ণের দিব্য সম্পর্ক কি ?

রাধা কৃষ্ণের দিব্য সম্পর্ক কি ? 
•••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••

লেখাটি পড়ে দেখুন, আপনার সব ধারনা ক্লিয়ার হয়ে যাবে
রাধা কৃষ্ণের দিব্য সম্পর্ক সম্মন্ধে জানতে হলে আগে জানতে হবে রাধা রানী কে এবং তাঁর এই রাধা নামের কারন কি??

রাধারানী রাস মন্ডলে আবির্ভূত হয়েছিলেন বলে 'রা'
এবং পরমেশ্বর ভগবানকে আরাধনার জন্য পুষ্প সহ ধাবিত হয়েছিলেন বলে 'ধা'
__ এভাবেই তিনি হলেন রাধা।।

(পরমেশ্বর ভগবানের লীলা রহস্য)
একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, শ্রী ভগবান যখন দুষ্টের দমন এবং শিষ্টের পালনের জন্য ধরাধামে অবতার হয়ে আসেন তখন তিনি কিন্তু একা আসেন না।। আসেন তাঁর পারিষদ সহ, তাঁর অন্তরঙ্গা শক্তি সহ।। যেমন ত্রেতা যুগে রাম এবং সীতা, কলিযুগে শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু এবং মা বিষ্ণুপ্রিয়া।। একই ভাবে দ্বাপর যুগের শেষে আসলেন স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এবং রাধা রানী।। ভগবান ধরাধামে এলে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ীই লীলা করেন।। দেবকীর গর্ভে আসলেন কৃষ্ণ এবং রাজা বৃষভানুর ঘরে আসলেন রাধারানী।। এবার একটু বেদের দিকে তাকাই।। বেদে লক্ষ্মী নারায়নের কথা বলা আছে।। স্বামী নারায়ন নিজে নিজেই সৃষ্টি হয়েছেন এবং তাঁকে কেউই সৃষ্টি করেন নি।। আবার শ্রীকৃষ্ণ গীতায় বলেছেন, আমিই সমগ্র বেদের কৃষ্ণ।। অর্থাৎ আমাদের এই শ্রীকৃষ্ণই হলেন সমগ্র বেদের নারায়ন।। অর্থাৎ সবই এক।। তাই স্বামী নারায়নের সাথে সার্বক্ষণিক সেবারত অবস্থায় যে লক্ষ্মী মাতাকে দেখি প্রকৃত অর্থে তিনিই রাধারানী।।
রাধা রানী কি আয়ান ঘোষকে প্রকৃত অর্থে বিবাহ করেছিলেন ? রাধারানী ধ্যান কল্পে বারবার শুধু শ্রীকৃষ্ণকেই মালা পরিয়েছিলেন।।
সুতরাং, রাধারানী কৃষ্ণের হ্লাদিনী শক্তি যে শক্তির প্রভাবে তিনি সৃষ্টি করেন।। মহাভাব স্বরুপা শ্রী রাধা ঠাকুরানী সর্বগুণ খনি কৃষ্ণ কান্তা শিরোমনি।' আবার এক অর্থে রাধা কৃষ্ণের কোন ভেদ নেই।। তাঁরা অভেদ, তাঁরা একাত্মা।। আর তাইতো, 'রাধা পূর্ণ শক্তি, কৃষ্ণ পূর্ণ শক্তিমান দুই বস্তু ভেদে নাই, শাস্ত্রের প্রমান।' জয় রাধামাধব জয় কুঞ্জবিহারী।। খুব ছোট করে বললাম।।
ভুল বললে ক্ষমা করবেন।।
আর আপনাদের মতামতের অপেক্ষায় থাকলাম ...... দাদা ও দিদিরা প্লীজ এড়িয়ে যাবেন না। আমরা চাই পৃথিবীর আনাচে কানাচে সনাতন ধর্মকে ছড়িয়ে দিতে। আর এজন্য আপনার
সহযগিতা একান্ত ভাবে কামনা করছি।

শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু কে ছিলেন ????

 শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু কে ছিলেন ?

➡ শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু (১৪৮৬ – ১৫৩৪) ছিলেন একজন হিন্দু সন্ন্যাসী এবং ষোড়শ শতাব্দীর বিশিষ্ট বাঙালি ধর্ম ও সমাজ সংস্কারক। তিনি অধুনা পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। গৌড়ীয় বৈষ্ণবগণ তাকে শ্রীকৃষ্ণের পূর্ণাবতার মনে করেন। শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য ছিলেন ভাগবত পুরাণ ও ভগবদ্গীতা-য় উল্লিখিত দর্শনের ভিত্তিতে সৃষ্ট বৈষ্ণব ভক্তিযোগ মতবাদের একজন বিশিষ্ট প্রবক্তা।তিনি বিশেষত রাধা ও কৃষ্ণ রূপে ঈশ্বরের পূজা প্রচার করেন এবং হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্রটি জনপ্রিয় করে তোলেন। সংস্কৃত ভাষায় শিক্ষাষ্টক নামক প্রসিদ্ধ স্তোত্রটিও তারই রচনা। গৌড়ীয় বৈষ্ণব মতানুসারে, ভাগবত পুরাণের শেষের দিকের শ্লোকগুলিতে রাধারানির ভাবকান্তি সংবলিত শ্রীকৃষ্ণের চৈতন্য রূপে অবতার গ্রহণের কথা বর্ণিত হয়েছে।

চৈতন্য মহাপ্রভুর পূর্বাশ্রমের নাম 'গৌরাঙ্গ', বা 'নিমাই'। তার গাত্রবর্ণ স্বর্ণালি আভাযুক্ত ছিল বলে তাকে 'গৌরাঙ্গ' নামে অভিহিত করা হত;অন্যদিকে, নিম বৃক্ষের নিচে জন্ম বলে তার নামকরণ হয়েছিল 'নিমাই'। ষোড়শ শতাব্দীতে চৈতন্য মহাপ্রভুর জীবনী সাহিত্য বাংলা সন্তজীবনী ধারায় এক নতুন যুগের সূচনা ঘটিয়েছিল। সেযুগে একাধিক কবি চৈতন্য মহাপ্রভুর জীবনী অবলম্বনে কাব্য রচনা করে গিয়েছেন। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: কৃষ্ণদাস কবিরাজ গোস্বামীর #চৈতন্য_চরিতামৃত, বৃন্দাবন দাস ঠাকুরের #চৈতন্য_ভাগবত, এবং লোচন দাস ঠাকুরের #চৈতন্যমঙ্গল।

👏🌻 শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর আর্বিভাবঃ 👏🌻

চৈতন্য চরিতামৃত গ্রন্থের বর্ণনা অনুযায়ী, ১৪৮৬ খ্রিস্টাব্দের ১৮ ফেব্রুয়ারি দোলপূর্ণিমার রাত্রে চন্দ্রগ্রহণের সময় নদিয়ার নবদ্বীপে চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্ম।তাঁর পিতামাতা ছিলেন অধুনা পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার অন্তর্গত নবদ্বীপের অধিবাসী জগন্নাথ মিশ্র ও শচী দেবী। চৈতন্যদেবের পূর্বপুরুষেরা ছিলেন ওড়িশার জাজপুরের আদি বাসিন্দা। তাঁর পিতামহ মধুকর মিশ্র ওড়িশা থেকে বাংলায় এসে বসতি স্থাপন করেন।

চৈতন্যদেবের পিতৃদত্ত নাম ছিল বিশ্বম্ভর মিশ্র। প্রথম যৌবনে তিনি ছিলেন স্বনামধন্য পণ্ডিত। তর্কশাস্ত্রে নবদ্বীপের নিমাই পণ্ডিতের খ্যাতি ছিল অবিসংবাদিত। জপ ও কৃষ্ণের নাম কীর্তনের প্রতি তাঁর আকর্ষণ যে ছেলেবেলা থেকেই বজায় ছিল, তা জানা যায় তাঁর জীবনের নানা কাহিনি থেকে। কিন্তু তাঁর প্রধান আগ্রহের বিষয় ছিল সংস্কৃত গ্রন্থাদি পাঠ ও জ্ঞানার্জন। পিতার মৃত্যুর পর গয়ায় পিণ্ডদান করতে গিয়ে নিমাই তাঁর গুরু ঈশ্বর পুরীর সাক্ষাৎ পান। ঈশ্বর পুরীর নিকট তিনি গোপাল মন্ত্রে দীক্ষিত হন। এই ঘটনা নিমাইয়ের পরবর্তী জীবনে গভীর প্রভাব বিস্তার করে। বাংলায় প্রত্যাবর্তন করার পর পণ্ডিত থেকে ভক্ত রূপে তাঁর অপ্রত্যাশিত মন পরিবর্তন দেখে অদ্বৈত আচার্যের নেতৃত্বাধীন স্থানীয় বৈষ্ণব সমাজ আশ্চর্য হয়ে যান। অনতিবিলম্বে নিমাই নদিয়ার বৈষ্ণব সমাজের এক অগ্রণী নেতায় পরিণত হন।

কেশব ভারতীর নিকট সন্ন্যাসব্রতে দীক্ষিত হওয়ার পর নিমাই শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য নাম গ্রহণ করেন। সন্ন্যাস গ্রহণের পর তিনি জন্মভূমি বাংলা ত্যাগ করে কয়েক বছর ভারতের বিভিন্ন তীর্থস্থান পর্যটন করেন। এই সময় তিনি অবিরত কৃষ্ণনাম জপ করতেন। জীবনের শেষ চব্বিশ বছর তিনি অতিবাহিত করেন জগন্নাথধাম পুরীতে। ওড়িশার সূর্যবংশীয় হিন্দু সম্রাট গজপতি মহারাজা প্রতাপরুদ্র দেব চৈতন্য মহাপ্রভুকে কৃষ্ণের সাক্ষাৎ অবতার মনে করতেন। মহারাজা প্রতাপরুদ্র চৈতন্যদেব ও তাঁর সংকীর্তন দলের পৃষ্ঠপোষকে পরিণত হয়েছিলেন। ভক্তদের মতে, জীবনের শেষপর্বে চৈতন্যদেব ভক্তিরসে আপ্লুত হয়ে হরিনাম সংকীর্তন করতেন এবং অধিকাংশ সময়েই ভাবসমাধিস্থ থাকতেন।

👏🌹 অবতারত্ব 👏🌹

ভগবানের সঙ্গে প্রেমময়ী সম্পর্ক সমন্ধে শিক্ষা দান করার জন্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সেই দ্বাপরের অব্যবহিত কলিযুগের প্রথম সন্ধ্যায় শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু রূপে নদীয়াতে প্রকাশিত হন । শুদ্ধভক্তিতে ভগবান আকৃষ্ট হন । শুদ্ধভক্ত ভগবানের প্রতি আকৃষ্ট । কেউ যদি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অপ্রাকৃত প্রকৃতির প্রতি আকৃষ্ট না হয়, তা হলে সে অবশ্যই জড়সুখভোগের প্রতি আকৃষ্ট হবে এবং পাপ-পুণ্যের কর্মফলের প্রতি আবদ্ধ হয়ে একের পর এক জড় দেহ ধারণ করে জাগতিক বন্ধনে আবদ্ধ থাকবে । কৃষ্ণচেতনাই জীবনের পরম পুর্ণতা । সেজন্য বদ্ধ জীবদের মধ্যে শুদ্ধ কৃষ্ণভক্তি চেতনা প্রদানের জন্য ভক্তিভাব অবলম্বন করে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কৃষ্ণচৈতন্য রূপে অবতীর্ণ হন ।

মহাভারতের দানধর্মে, বিষ্ণুসহস্রনাম স্তোত্রে পরমেশ্বর ভগবানের রূপগুনের বর্ণনা করা হয়েছে, এভাবে —-

সুবর্ণবর্ণো হেমাঙ্গো বরাঙ্গশ্চন্দনাঙ্গদী ।
সন্ন্যাসকৃচ্ছমঃ শান্তো নিষ্ঠাশান্তিপরায়ণঃ ।।

সুবর্ণবর্ণ- সোনার মতো উজ্জল অঙ্গকান্তি, হেমাঙ্গ- শুধু সোনার মতো নয়, তপ্ত বা গলিত সোনার মতো অঙ্গ, বরাঙ্গ- অপূর্ব সর্বাঙ্গসুন্দর রূপ, চন্দনাঙ্গদী—চন্দনে চর্চিত অঙ্গ , সন্ন্যসকৃৎ– সন্ন্যাস আশ্রম গ্রহণকারী, শম— শমগুণ সম্পন্ন, শান্ত—ধীর, কৃষ্ণভক্তি ব্যতীত অন্য বিষয়ে উদাসীন, নিষ্ঠা— ভক্তির পরম আশ্রয় । এই সমস্ত বর্ণণা শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুকেই নির্দেশ করে ।

শ্রীমদ্ভাগবতে একাদশ স্কন্ধে পঞ্চম অধ্যায়ের একত্রিশ শ্লোকে কলিযুগের আরাধ্য ভগবান সমন্ধে বর্ণণা রয়েছে —

“কলিযুগে যারা সুবুদ্ধি সম্পন্ন ব্যাক্তি, তাঁরা অবশ্যই নাম সংকীর্তন যজ্ঞ দ্বারা, সেই কৃষ্ণ যিনি অ-কৃষ্ণ বা গৌররূপে আবির্ভুত হয়েছেন, তাঁর আরাধনা করবেন । সেই ভগবান সর্বদা তাঁর পার্ষদ, সেবক, সংকীর্তন অস্ত্র ও ঘনিষ্ঠ সহচর পরিবৃত থাকেন ।”
উপপুরাণে শ্রীব্যাসদেবের প্রতি শ্রীহরির উক্তি এরকম—“হে ব্রাহ্মন । কখনও কখনও অবশ্যই আমি কলিযুগের অধঃপতিত পাপী মানুষদের হরিভক্তি প্রদান করবার জন্য সন্ন্যাস-আশ্রম অবলম্বন করি ।”

শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু হচ্ছেন-প্রদত্ত দিব্যনাম কীর্তনের পন্থা কেবল সহজসাধ্যই নয়, পারমার্থিক পুর্ণতা লাভের, জীবনের চরম সার্থকতা লাভের জন্য যত আধ্যাত্মিক পন্থা আছে, প্রেমপুর্ণ এই পন্থা তাঁর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ, সর্বোত্তম । ভক্তিযোগের সর্বোচ্চ পন্থা কেবল ভগবানই প্রদান করতে পারেন — অন্য কেউ নয়, আর এজন্য ভগবান স্বয়ং ভক্তরূপে অবতীর্ণ হন । তিনিই শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু ।

জয় শ্রীচৈতন্যমহাপ্রভু :)
<3 হরে কৃষ্ণ <3

collected

হিন্দুরা কেন গো মাংস ভক্ষন করে না?

হিন্দুরা কেন গো মাংস ভক্ষন করে না? গো মাংস ভক্ষন এ কি করতে হয়? গো ঘাতক বা হত্যা কারী শাস্তি কি?
গো চামড়ার জুতা পরা উচিত কি?

হিন্দু শ্রাস্ত্র বেদ নির্ভর। বেদ হলো ইশ্বর বাক্য। যা অলঙ্ঘনীয়। বেদ ঈশ্বর প্রদত্ত আদেশ নির্দেশনা কি করে জীবন আচরণ করবো তা মুলত স্মৃতি দ্বারা বুঝা য়ায়।।
প্রথমে আসি বেদ কি বলে?

প্র নু বোচং চিকিতুষে জনয়া,মা গামনাগা মদিতিং বধিষ্ট।।(ঋগবেদ ৮/১০১ / ১৫।)

- -ঈশ্বর বলছেন, আমি জ্ঞানবান কে বলছি যে তোমারা নিরপরাধ গো জাতিকে হত্যা করো না।।
এখন তথাকথিত বুদ্ধি জীবিরা বলবে এখানে হত্যা করতে নিষেদ করছে। খেতে তো নয়! আরে ভাই যাকে কাটা যাবে না তাকে খাবার তো প্রশ্ন আসে না। বেদের এই বাক্যর পূর্ন ব্যাখ্যা আছে স্মৃতি তে। যা আমাদের আদি পিতা মনু ও বাকী ১৮ জন বেদবিদ মহর্ষি গণ দ্বারা ব্যাখ্যা করা।।
আসুন দেখি কি বলে স্মৃতি-
ব্রক্ষহত্যা সুরাপানং স্তেয়ং গুর্ববঙ্গনাগমঃ।
মহান্তি পাতকান্যাহুঃ সংসর্গশ্চাপি তৈঃ সহ।।
মনু। ব্রাম্মহত্যা (মানুষ ও গো হত্যা),মদ পান,চৌর্য, কন্যা,মাতৃ স্থানীয় নারী সংঙ্গম এই চারটি মহাপাতক। যারা এই কর্ম করে তাদের সাথে বাস করা শয়ন উপবেশন করলে সেও মহা পাপী।। তাই বলা যায় গো হত্যা নিষেধ।।

এবার আসি গোমাংসভোজী হলে কি করতে হয়?

গোমাংস ভক্ষনে প্রাজাপত্যং চরেদিতি।।

সমন্ত স্মৃতি।। অনিচ্ছা পূর্বক গো মাংস একবার ভক্ষনে প্রজাপত্য ব্রত করিবে।
গো অশ্ব বারহ কুন্জারোষ্টী চ সর্বং পন্চনখ তথা।।
ক্রব্যাদং কুক্কুটং গ্রাম্য কুর্যাৎ সংবৎসর ব্রতমিতি।।
শঙ্খ সংহিতা।। গরু, অশ্ব, শুকর, হাতি গ্রাম্য কুক্কুটাদি মাংস ভোজন করলে সম্বৎসর ব্রত করিবে।। সুতরাং এখানে স্পষ্ট বুঝা যায় কোন কোন মাংস আমাদের খাওয়া যাবে না।।
যেহেতু বেদ ও স্মৃতি দুই গো হত্যা ও খাওয়া নিষেদ তাই আমরা হিন্দুরা গো মাংস খাই না।।

কেউ যদি গো ঘাতক হয় তার শাস্তি কি?

যদি নো গাং হংসি যদ্যশ্বং যদি পুরুষম।।
তং ত্বা সীসেন বিধ্যামো যথা নোহসো অবীরহা।।(অর্থববেদ ১/ ১৬/ ৪)

আর তুমি যদি আমাদের গরু অশ্ব ও প্রজাদিগকে হিংসা করো বা হত্যা করো তবে তোমাকে সীসা দ্বারা বিদ্ধ করিব। আমাদের সমাজের মধ্যে যেন বীরদের বিনাশকারী কেহই না থাকে।। এখানে বলা হচ্ছে যদি কেউ গো ও মানব হত্যা করে ইচ্ছা করে তাকে সীসা বিদ্ধ করতে।।

এবার আসি আমরা গো মাংস খাইনা তবে কেন গো চামড়ার জুতা পরি?

আসলে বেদ ও বৈদিক সমাজ বা সমগ্র আর্যার্বত বা সিন্ধু সভ্যতা গো চামড়ার জুতা পরা হতো না।। ঐ সময় হতে এখন পর্যন্ত হিন্দু সমাজের লোকজন খরম বা চটি পরতো।। কাঠের তৈরী জুতা কে খরম ও ভেড়ার বা মোষের চামড়ার তৈরী জুতা কে চটি বলে।। কিন্তু দূর্ভাগ্য বশত এখন আধুনিকতা নামে প্রাচ্য সভ্যতার ক্রমবিকাশে এখন গো চামড়ার জুতা অনেক হিন্দু পরে।।। কারন এখন এটা না পরে যবন সভত্যার সাথে সখ্যতা থাকেনা।। তাই অনেকে তা পরে। তবে আজ আর্যার্তের ধর্ম গুরু গণ বা সন্নাসী গণ খরম ব্যাবহার করে।চামড়ার জুতা নয়।

৫.৮.১৮

হরিনাম জপ সম্পর্কে এ.সি ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদের ১০টি প্রধান উক্তি

হরিনাম জপ সম্পর্কে এ.সি ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদের ১০টি প্রধান উক্তি :👏👏👏

১) যিনি হরিনাম জপের সময় দিব্য আনন্দ অনুভব করেন তিনি খুব শীঘ্রই সকল জড় কলুষ থেকে পরিশুদ্ধ হবেন।

২) কেবলমাত্র অামাদের প্রাত্যাহিক জপ যথাযথভাবে সম্পাদনের মাধ্যমে আমরা সকল পাপকর্মফল হতে মুক্ত হতে পারি।

৩) শুদ্ধভাবে নিয়মিত জপ ব্যাতিরেকে আমরা কখনই পূর্ণরূপে কৃষ্ণভাবনাময় হতে পারবোনা। জপই হচ্ছে পূর্ণরূপে কৃষ্ণভাবনাময় হওয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী পন্থা।

৪) আমাদের শক্তি হচ্ছে চারটি নিয়ম পালন আর ষোল মালা জপ।

৫) প্রত্যেকেই নবীন দশা থেকেই ভক্তিজীবন শুরু করে, কিন্তু কেউ যদি যথাযথভাবে নির্দেশিত সংখ্যক হরিনাম সম্পন্ন করে, তবে সে ধীরে ধীরে উত্তম অধিকারী স্তরে উন্নীত হবে। - ভক্তিরসামৃতসিন্ধু

৬) শ্রীগুরুদেবের দেওয়া সকল মূলনীতিগুলোর মধ্যে ১৬ মালা জপই হচ্ছে সর্বোপরি।

৭) সর্বনিম্ম ১৬ মালা আমাদের জপ করতে হবে। কিন্তু নিরন্তর জপই আমাদের মূল লক্ষ্য।

৮) যখন জপ প্রেম এবং আন্তরিকতার সাথে করা হয়না, তখন তা হতে লক্ষ্যনীয় কোন জাগতিক বা পারমার্থিক সুফল লাভ হয়না। কিন্তু সেই একই জপ যদি প্রেম ও আন্তরিকতার সাথে সম্পাদন করা হয়, তবে তা আমাদের এক বিশুদ্ধ মানসিকতার স্তরে উন্নীত করে।

৯) জপ যে কেবল নীরবেই করতে হবে সেই সম্পর্কে কোন বাধ্যবাধকতা নেই, এটা বিভিন্নভাবে করা যেতে পারে। উচ্চস্বরে হোক বা নীরবে, সবটাই ঠিক। এক্ষেত্রে কোন সীমাবদ্ধতা নেই। তবে এটা অবশ্যই আন্তরিকভাবে করা এবং খুব গভীরভাবে সেই দিব্য শব্দতরঙ্গ শ্রবণ করা উচিত।

১০) আপনার জপমালাটাই হচ্ছে আপনার ভগবদ্ধামে ফিরে যাওয়ার টিকিট।

🙏🙏জয় শ্রীল প্রভুপাদ!🙏🙏