গুরুদেব ও ভগবানের অবতারের মধ্যে পার্থক্য কি?
প্রথমেই জানি,গুরু কি?
যিনি আমাকে অজ্ঞানতার অন্ধকার থেকে,পারমার্থিক জ্ঞান দ্বারা উদ্ধার করে,ভগবদ্ধামে নিয়ে যেতে সাহায্য করেন।
তিনি অবশ্যই ভগবানের বহিরঙ্গা প্রকাশ। যেহেতু তিনি শ্রীকৃষ্ণের বিশেষ প্রতিনিধি-তাই তাঁর উপর এক বিশেষ ক্ষমতা ভগবান প্রদাণ করেন।
বেদ অনুসারে সদগুরুর লক্ষণ-
'তদ্বিজ্ঞানার্থং স গুরুমেভাভিগচ্ছেৎ
সমিৎপাণি শ্রোত্রিয়ং ব্রহ্মনিষ্ঠম।'
গুরুদেবকে অবশ্যই তাঁর গুরুদেবের কাছে যেতে হবে,এবং বৈদিক জ্ঞান অবশ্যই যথাযথভাবে লাভ করতে হবে।
তবে সদগুরুর প্রধাণ লক্ষণ হচ্ছে-তিনি সরাসরি ভগবানের ভক্ত। তিনি ভগবানের বাণী প্রচারের মাধ্যমে শ্রীকৃষ্ণের সেবা করেন।
ভগবান যিনি বিশ্ব-ব্রহ্মান্ডের মালিক,তুমি চাইলে তাঁর কাছে যেকোন জাগতিক বস্তু প্রাপ্ত হতে পার। কিন্তু মানবজীবনের যে আসল উদ্দেশ্য-মোক্ষলাভ (বারবার জন্ম-মৃত্যুর চক্র থেকে বের হওয়া) প্রাপ্ত করাতে স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণও অক্ষম। যা একমাত্র গুরুই পারেন।
এতটা ক্ষমতা (power) দিয়ে ভগবান গুরুকে পাঠান।
ইহাই এক অন্যতম কারনরূপে ভগবান অবতারও ধারণ করেন,এবং একইসাথে গুরুরূপেও আসেন।
স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণও দীক্ষাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন (আমাদের দীক্ষার প্রয়োজন বোঝাতে)।
অর্জুন যেই মূহুর্তে তাঁকে গুরুরূপে বরণ করলেন এবং বললেন-
'শিষ্যস্থেহহং শাধি মাং ত্বাং প্রপন্নম'
"আমি আপনার শিষ্য,আমি আপনার শরণাগত আত্মা। দয়া করে আমাকে নির্দেশ দিন।"
এরপর তিনি গীতার উপদেশ দিলেন। যে উপদেশই আমরাও পালন করে চলেছি। অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণই হচ্ছেন আদি গুরু।
'তেনে ব্রহ্ম হৃদা য আদিকবয়ে'-
তিনি ব্রহ্মাকে প্রথম বৈদিক জ্ঞান প্রদাণ করেন। অর্থাৎ ব্রহ্মা তাঁর শিষ্য। আবার ব্রহ্মার শিষ্য নারদমুনি।
নারায়ণ- ব্রহ্মা- নারদ- ব্যাসদেব- শুকদেব....
এইভাবে গুরু পরম্পরার ধারায় সঠিক জ্ঞান লাভ করতে হয়।
যেমন গীতায় ভগবানের প্রধাণ আদেশ ছিল-
'সর্বধর্মান পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্রজ'
"সব রকমের ধর্ম পরিত্যাগ করে আমার শরণাগত হও"।
কিন্তু এই "সব রকমের ধর্ম"- বলতে মানুষ তাঁর নির্দেশ বুঝতেই ভুল করল। কারন আমাদের বুদ্ধি বিকৃত,কলুষিত- যার জন্য আমরা উলটো অর্থ করে ফেলি।
একদম সঠিক অর্থটা বোঝাবে কে?
গুরুদেব।
তাই শ্রীকৃষ্ণ আবার মহাপ্রভু রূপে আবির্ভূত হয়ে শিক্ষা দিলেন- কিভাবে শ্রীকৃষ্ণের কাছে আত্মনিবেদন করতে হয়। এই হচ্ছে গুরু ও শ্রীকৃষ্ণের,মানুষকে উদ্ধারের লাগি বিশেষ কর্ম।
গুরুরা কখনই ভিন্ন ধরনের নন! তবে দেখতে হবে- গুরুদেব পরম্পরার ধারায় আছেন কি না? অর্থাৎ আদি গুরু শ্রীকৃষ্ণ--এই সারিতে তিনি আছেন কি না??
তাহলে তিনি অবশ্যই সদগুরু।।
collected
প্রথমেই জানি,গুরু কি?
যিনি আমাকে অজ্ঞানতার অন্ধকার থেকে,পারমার্থিক জ্ঞান দ্বারা উদ্ধার করে,ভগবদ্ধামে নিয়ে যেতে সাহায্য করেন।
তিনি অবশ্যই ভগবানের বহিরঙ্গা প্রকাশ। যেহেতু তিনি শ্রীকৃষ্ণের বিশেষ প্রতিনিধি-তাই তাঁর উপর এক বিশেষ ক্ষমতা ভগবান প্রদাণ করেন।
বেদ অনুসারে সদগুরুর লক্ষণ-
'তদ্বিজ্ঞানার্থং স গুরুমেভাভিগচ্ছেৎ
সমিৎপাণি শ্রোত্রিয়ং ব্রহ্মনিষ্ঠম।'
গুরুদেবকে অবশ্যই তাঁর গুরুদেবের কাছে যেতে হবে,এবং বৈদিক জ্ঞান অবশ্যই যথাযথভাবে লাভ করতে হবে।
তবে সদগুরুর প্রধাণ লক্ষণ হচ্ছে-তিনি সরাসরি ভগবানের ভক্ত। তিনি ভগবানের বাণী প্রচারের মাধ্যমে শ্রীকৃষ্ণের সেবা করেন।
ভগবান যিনি বিশ্ব-ব্রহ্মান্ডের মালিক,তুমি চাইলে তাঁর কাছে যেকোন জাগতিক বস্তু প্রাপ্ত হতে পার। কিন্তু মানবজীবনের যে আসল উদ্দেশ্য-মোক্ষলাভ (বারবার জন্ম-মৃত্যুর চক্র থেকে বের হওয়া) প্রাপ্ত করাতে স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণও অক্ষম। যা একমাত্র গুরুই পারেন।
এতটা ক্ষমতা (power) দিয়ে ভগবান গুরুকে পাঠান।
ইহাই এক অন্যতম কারনরূপে ভগবান অবতারও ধারণ করেন,এবং একইসাথে গুরুরূপেও আসেন।
স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণও দীক্ষাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন (আমাদের দীক্ষার প্রয়োজন বোঝাতে)।
অর্জুন যেই মূহুর্তে তাঁকে গুরুরূপে বরণ করলেন এবং বললেন-
'শিষ্যস্থেহহং শাধি মাং ত্বাং প্রপন্নম'
"আমি আপনার শিষ্য,আমি আপনার শরণাগত আত্মা। দয়া করে আমাকে নির্দেশ দিন।"
এরপর তিনি গীতার উপদেশ দিলেন। যে উপদেশই আমরাও পালন করে চলেছি। অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণই হচ্ছেন আদি গুরু।
'তেনে ব্রহ্ম হৃদা য আদিকবয়ে'-
তিনি ব্রহ্মাকে প্রথম বৈদিক জ্ঞান প্রদাণ করেন। অর্থাৎ ব্রহ্মা তাঁর শিষ্য। আবার ব্রহ্মার শিষ্য নারদমুনি।
নারায়ণ- ব্রহ্মা- নারদ- ব্যাসদেব- শুকদেব....
এইভাবে গুরু পরম্পরার ধারায় সঠিক জ্ঞান লাভ করতে হয়।
যেমন গীতায় ভগবানের প্রধাণ আদেশ ছিল-
'সর্বধর্মান পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্রজ'
"সব রকমের ধর্ম পরিত্যাগ করে আমার শরণাগত হও"।
কিন্তু এই "সব রকমের ধর্ম"- বলতে মানুষ তাঁর নির্দেশ বুঝতেই ভুল করল। কারন আমাদের বুদ্ধি বিকৃত,কলুষিত- যার জন্য আমরা উলটো অর্থ করে ফেলি।
একদম সঠিক অর্থটা বোঝাবে কে?
গুরুদেব।
তাই শ্রীকৃষ্ণ আবার মহাপ্রভু রূপে আবির্ভূত হয়ে শিক্ষা দিলেন- কিভাবে শ্রীকৃষ্ণের কাছে আত্মনিবেদন করতে হয়। এই হচ্ছে গুরু ও শ্রীকৃষ্ণের,মানুষকে উদ্ধারের লাগি বিশেষ কর্ম।
গুরুরা কখনই ভিন্ন ধরনের নন! তবে দেখতে হবে- গুরুদেব পরম্পরার ধারায় আছেন কি না? অর্থাৎ আদি গুরু শ্রীকৃষ্ণ--এই সারিতে তিনি আছেন কি না??
তাহলে তিনি অবশ্যই সদগুরু।।
collected